India’s new naval base in Lakshadweep: এবার লাক্ষাদ্বীপে ভারতের নতুন নৌঘাঁটি আইএনএস জটায়ু। বুধবার (৬ মার্চ), নেভাল ডিটাচমেন্ট মিনিকয়কে আইএনএস জটায়ু হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি একটি আপগ্রেডেড নৌ ঘাঁটি, কৌশলগত কারণেই লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে ভারত নিরাপত্তা পরিকাঠামো বাড়াতে চাইছে। তারই পদক্ষেপ হিসেবে, মিনিকয়ের নৌঘাঁটিকে শক্তিশালী করে আইএনএস জটায়ু হিসেবে গ্রহণ করা হল।
- মিনিকয়ে এই নৌঘাঁটি চালু হল।
- নাম দেওয়া হয়েছে আইএনএস জটায়ু।
- কাভারেত্তিতেও রয়েছে আইএনএস দ্বীপপ্রাক্ষক।
দ্বিতীয় নৌঘাঁটি
১৯৮০-র দশক থেকে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণতম প্রবালপ্রাচীর মিনিকয়ে শক্তিশালী নৌঘাঁটি গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। আইএনএস জটায়ু সেই চেষ্টারই প্রতিফলন। এটা লাক্ষাদ্বীপে ভারতের দ্বিতীয় নৌ-ঘাঁটি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হল। লাক্ষাদ্বীপের কাভারত্তিতে নৌবাহিনীর প্রথম ঘাঁটি আইএনএস দ্বীপপ্রাক্ষক ২০১২ সালে চালু হয়।
সম্প্রতি মরিশাসে বিমানঘাঁটি উদ্বোধন
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগনাউথ যৌথভাবে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে তথা আফ্রিকার উপকূলে আগালেগা নামে মরিশাসের এক দ্বীপে একটি বিমানঘাঁটি এবং একটি জেটি উদ্বোধন করেছেন। তার কয়েকদিন পর আইএনএস জটায়ুর উদ্বোধন করা হল। ভারতীয় নৌবাহিনী তার জাহাজ, ঘাঁটি-সহ সবকিছুর নামের সঙ্গে আইএনএস শব্দটি যুক্ত করে। সেভাবেই লাক্ষাদ্বীপের এই নৌঘাঁটির নামেও আইএনএস যুক্ত করা হল।
লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ
সংস্কৃত এবং মালয়ালম ভাষায় লাক্ষাদ্বীপ শব্দের অর্থ হল, একলক্ষ দ্বীপ। কোচি থেকে যার দূরত্ব ২২০ থেকে ৪৪০ কিলোমিটারের মধ্যে। এটি ৩৬টি দ্বীপের এক দ্বীপপুঞ্জ। যার মধ্যে মাত্র ১১টিতে জনবসতি আছে। লাক্ষাদ্বীপের মোট আয়তন ৩২ বর্গকিলোমিটার। লাক্ষাদ্বীপ হল ভারত মহাসাগরের প্রবাল দ্বীপগুলোর একটি শৃঙ্খলের অংশ। যার দক্ষিণে সামান্য দূরেই মালদ্বীপ। নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থিত চাগোস দ্বীপপুঞ্জ এর পিছনে রয়েছে।
কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ
ভারত মহাসাগরে তার অবস্থানের কারণেই লাক্ষাদ্বীপ ভারতের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সমুদ্রপথে চিনের বাড়াবাড়ির কারণে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, চিনের উসকানিতে লাক্ষাদ্বীপের কাছেই অবস্থিত মালদ্বীপ, সেখানে সাহায্যের জন্য যাওয়া ভারতীয় সেনাদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। তার মধ্যে আবার লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয়, বিশ্বের ব্যস্ত সামুদ্রিক পথের অংশ। যার জেরে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ সামুদ্রিক দূষণের আওতা থেকে মুক্ত নয়।
আরও পড়ুন- গঙ্গাগর্ভে মেট্রো এক ব্রিটিশের কল্পনার ফসল! শতবর্ষ আগেই তৈরি হয়েছিল নকশা?
আইএনএস জটায়ু
নেভাল ডিটাচমেন্ট মিনিকয় নেভাল অফিসার-ইন-চার্জ (লাক্ষাদ্বীপ) অপারেশনাল কমান্ডের অধীনে ছিল। তাকেই আইএনএস জটায়ু হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে প্রশাসনিক, লজিস্টিক এবং চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে। আইএনএস জটায়ুতে এয়ারফিল্ড, আবাসন এবং কর্মীদের জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানকার দ্বীপে জেটি নির্মাণের সুযোগ কম।। তবে একটি নতুন বিমানঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। যেখানে সামরিক এবং বেসামরিক উভয় বিমানই ওঠানামা করবে।