Advertisment

সোম-মঙ্গল ভারত বনধ, ব্যাংক-পরিবহন ছাড়াও কোন পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে?

দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এই বনধে ব্যাংক পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
banks service to closed for 3 days from tomorrow

বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিবিধ নীতির প্রতিবাদে সোম এবং মঙ্গলবার দু'দিনের ভারত বনধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠন, ব্যাংক কর্মচারী সংগঠন-সহ বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। যার প্রভাব পড়তে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর। গত ২২ মার্চ, বনধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, জনবিরোধী। এই সব অভিযোগ এনেই বনধ ডাকা হয়েছে। ২০২১ সালের ব্যাংক আইন সংশোধনী বিল এনে কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার প্রতিবাদে এই বনধে শামিল হয়েছে ব্যাংক কর্মচারী সংগঠনগুলোও। পাশাপাশি সড়ক, পরিবহণ এবং বিদ্যুত্ কর্মীরাও ধর্মঘটে শামিল হবেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রেল এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের শ্রমিকরাও ধর্মঘটে শামিল হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কয়লা, ইস্পাত, তেল, টেলিকম, পোস্টাল, আয়কর, তামা, এবং বিমা ক্ষেত্রের কর্মীরাও জানিয়েছেন তাঁরা এই ধর্মঘটে যোগ দিতে চান।

Advertisment

দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এই বনধে ব্যাংক পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধর্মঘটের দিনগুলোয় ব্যাংক পরিষেবা চলবে অত্যন্ত সীমিত আকারে। তবে, পশ্চিমবঙ্গে বনধের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, রাজ্য সরকার নির্দেশ জারি করে জানিয়েছে, সমস্ত অফিস খোলা থাকবে। অফিসে না-এলে কর্মীদের একদিনের বেতন অথবা কর্মজীবনের একদিন বাতিল বলে গণ্য হবে। এমনকী, উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না-পারলে কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। যথেষ্ট সংখ্যক সরকারি গাড়ি বনধের দিনগুলোয় রাস্তায় থাকবে। প্রয়োজনে সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হবে বলেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, জোর করে বনধ করার চেষ্টা হলে আইনগতভাবে কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে বলেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছিল, তারা বনধের রাজনীতি সমর্থন করে না। বনধ পালন করলে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হয় না। সেই কারণেই তাঁরা বনধের রাজনীতি কড়া হাতে মোকাবিলা করতে চান। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Read story in English

bharat bandh
Advertisment