Coromandel Express accident Updates: রাত যত বেড়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ হয়েছে। গভীর রাতে ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। কিন্তু তাতেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির মধ্যে থেকে সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেই অনুমান। ফলে উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে সেনাবাহিনী। শনিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে পাওয়া তথ্য অনুসারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬১ জন। আহত কমপক্ষে ৯০০ জন। শুক্রবার রাতেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিনই বালেশ্বরের দুর্ঘটাস্থলে যাবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
শনিবার ভোরেও জারি আছে উদ্ধারকাজ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে মেলা খবর অনুসারে, আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতি ছিল অনেকটাই বেশি। তীব্র গতিতে এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে আগে চলতে থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ওই ট্রেনের ২৩টি কামরার মধ্যে ১১টিই লাইনচ্যুত হয়। ছিটকে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে ও নয়ানজুলিতে। সেই সময় ডাইন লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরাগুলির উপর এসে ধাক্কা মারে। ফলে ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসেরও ২টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেম্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলা থেকে সহায়তার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে, ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রত্যেক মৃতের আত্মীয়কে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটারে জানিয়েছেন যে, মৃতদের পরিবার ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অপেক্ষাকৃত কম আঘাতপ্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
ট্রেন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন যে, সে রাজ্যে একদিনের জন্য শোক পালন হবে। আজ, ৩ জুন সরকারি সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।