‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের হিংসার জেরে যত পরিমাণ সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা আদায় করা হবে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে। কড়া বার্তা দিলেন যোগী প্রশাসন। বারাণসীর জেলা শাসক কৌশল রাজ শর্মা এক বিবৃতিতে বলেন, অগ্নিপথ বিক্ষোভের জেরে যে পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে তার পুরোটাই আদায় করা হবে দোষীদের কাছ থেকে”। তাঁর এই বিবৃতি ঘিরে হুলুস্থুলু পড়ে গিয়েছে।
‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের জেরেই গোটা দেশজুড়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। কোথাও ভাঙচুর আবার কোথাও জ্বলছে আগুন। দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বিক্ষোভের জেরে বিহারের নানা জায়গায় হুলুস্থুলু কাণ্ড। অগ্নিপথ প্রকল্পের জেরে ৩৫ টি ওয়াটস অ্যাপ গ্রুপকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এমনকি অগ্নিপথ প্রত্যাহারের দাবি করেছে কংগ্রেসও। দেশের নানা প্রান্তে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। যোগী রাজ্যেও ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প বাতিলের দাবি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। যদিও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর যোগী প্রশাসন।
গতকাল এক বিবৃতিতে বারাণসীর জেলা শাসক কৌশল রাজ শর্মা বলেন, অগ্নিপথ প্রতিবাদের নামে যেভাবে নির্বিচারে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে তা অন্যায়। এই সংক্রান্ত রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভের নামে ৩৬ টি বাসে ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে বাকীদের ধরতে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। মোট ১২ লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে শুধুমাত্র বারানসীতেই আর তা বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হবে। এর পাশাপাশি তিনি যুব সমাজের কাছে আবেদন করেন কোনরকম প্ররোচনায় তারা যেন পা না বাড়ান, তাতে ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা।
আরও পড়ুন: <শিক্ষিকা থেকে মন্ত্রী, এবার NDA-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী, আদিবাসীদের কাছে ‘মাটির মানুষ’ দ্রৌপদী মুর্মু>
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আঁচ। বাদ যায়নি উত্তরপ্রদেশও। ১৭ জুন, ইউপি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের প্রায় ৩৬ টি বাসে ভাঙচুর চালায় প্রতিবাদকারীরা। এই ঘটনায় ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে ৫ টি এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় ১২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন বারানসীর জেলাশাসক।