তুমুল বিতর্কের মধ্যেই দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে 'দ্য কেরালা স্টোরি'। তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গে ছবিটির স্ক্রিনিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে মমতার ঘোষণার পরদিনই উত্তরপ্রদেশে ছবিটিকে করমুক্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। টুইট করে সেকথা জানিয়েছেন যোগী। যার ফলে ছবিটিকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত।
Advertisment
মুখ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, যোগী সপার্ষদ, মন্ত্রীদের নিয়ে সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে পারেন। এর আগে গত বছর 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিটি করমুক্ত করেছিল যোগী সরকার। তার আগে ২০১৯ সালে 'উরি- দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' ছবিটিকে করমুক্ত ঘোষণা করেন যোগী।
প্রসঙ্গত, সোমবার বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের তৈরি সিনেমার সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বিজেপির উদ্দেশ্য প্রণোদিত উস্কানি বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে এ রাজ্যে নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নবান্ন সভাঘরে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে নিশানা করেন। বলেন, ‘ওরা বিভাজনের রাজনীতি করছে। কেন দ্য কাশ্মীর ফাইলস বানালো ওরা? এক শ্রেণির মানুষকে কটাক্ষ করার জন্য। এখন কেরালা স্টোরি বানিয়েছে। ওটা সিপিএম-এর রাজ্য। আমি ওদের একেবারেই সমর্থন করি না। ওরা বিজেপি-র সঙ্গে পথ চলে।’
এদিকে, তামিলনাড়ুতেও ছবিটি নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত। রবিবার তামিলনাড়ুর একাধিক সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্স ছবিটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। থিয়েটার এবং মাল্টিপ্লেক্স মালিকদের সংগঠন ছবিটি প্রদর্শনী করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, ডিএমকে সরকার চাপ দিয়ে ছবিটার স্ক্রিনিং বন্ধ করছে। এর আগে গত সপ্তাহে কেরালা হাইকোর্ট ছবিটির মুক্তিতে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয়। সেন্সর বোর্ডও ছাড়পত্র দিয়েছে।