দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ এখনই শিথিল নয়, কেজরিওয়াল সরকারের প্রস্তাব ওড়ালেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। বিধি-নিষেধ শিথিল করতে হলে রাজধানীর করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি প্রয়োজন বলেই মনে করেন বৈজল। এখনই করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলে ফল উল্টো হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই মনে করে অরবিন্দ কেজরিয়াল সরকার। দিল্লিতে সপ্তাহান্তে কারফিউ এবং বিধি-নিষেধ শিথিল করার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা পাকা করে ফেলে কেজরিওয়াল সরকার। বিধি-নিষেধ শিথিল করার সেই প্রস্তাব লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়।
তবে কেজরিওয়াল সরকারের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। তবে তিনি সরকারের প্রস্তাব নাকচ করলেও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ফের বেসরকারি অফিসগুলিকে খোলার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ''করোনার সংক্রমণ আরও না কমা পর্যন্ত এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে বিধি-নিষেধগুলি বহাল থাকা দরকার।''
এর আগে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, ''১২ জানুয়ারি দিল্লিতে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল। পজিটিভিটি রেট ছিল ৩০ শতাংশ। কিন্তু এখন সংক্রমণ কমছে। আজ সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার ৫০০-তে নেমে এসেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকে, অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। সেই সব লোকজনদের কথা বিবেচনা করে সপ্তাহান্তে কারফিউ, বাজারে জোড়-বিজোড় ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি অফিসগুলিকে তাদের ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।''
আরও পড়ুন- ৫ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়, সাফ জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
সিসোদিয়া আরও জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিধি-নিষেধ শিথিলের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে এর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও শেষমেশ অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের করোনা বিধি-নিষেধ শিথিল করার প্রাস্তব নাকচ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর বৈজল। আপাতত রাজধানীতে করোনা বিধি-নিষেধ লাগু রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি।
Read story in English