৫৫০ কোটি টাকা বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত অনিল আম্বানি এবং তাঁর সংস্থার দুই কার্য নির্বাহী আধিকারিক যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সেই ব্যাপারে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে সুইডিশ টেলিকম যন্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থা এরিকসন।
এরিকসন সংস্থায় অনিল আম্বানি গোষ্ঠীর ৪৫০০০ কোটি টাকার ঋণ ছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণে পাওনা হিসেবে ১৬০০ কোটি টাকা দাবি করে এরিকসন। পরে আরও একবার আদালতে ৫৫০ কোটি টাকায় নিষ্পত্তি হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার শেষ দিন ছিল। অনিল আম্বানির আর কম সংস্থা থেকে ৫৫০ কোটি টাকা বকেয়া জমা না পড়ায় এরিকসন সংস্থা শীর্ষ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন, দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ
এরিকসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "দেশের আইন ব্যবস্থাকে এঁরা সমীহ করেন না। আইনের অপব্যবহার করেন এঁরা। সংস্থার কর্ণধার যাতে আদালতের বিশেষ অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে"।
দাদা মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও-র সঙ্গে এক ব্যবসায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অনিল এবং তাঁর সংস্থা। আর কমের নিজের সম্পত্তি হিসেবে স্পেক্ট্রাম, টাওয়ার, ফাইবার বিক্রি করে ২৫০০০ কোটি টাকার লাভ হওয়ার আশা ছিল অনিল আম্বানি গোষ্ঠীর। কিন্তু টেলিকম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ২৯০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দাবি করায় চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া এক বিবৃতিতে অনিল আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশন বলেছে, বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য এরিকসনের কাছে বাড়তি ৬০ দিন সময় চেয়েছে তাঁরা।