gujrat deesa firecrackers factory blast: এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাটে (Gujrat) বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মঙ্গলবার গুজরাতের বনসকাঁথা জেলার দিসায় মারাত্মক এই বিস্ফোরণে মৃত্যু মিছিল।
মঙ্গলবার সকালে দিসা শহরের কাছে আচমকা বাজি কারখানায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে তার তীব্রতায় ওই বাজি কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। মারাত্মক এই বিস্ফোরণের জন্য কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ত্রাণ ও উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন। আহত আটজনকে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দিসার ধুনভা রোডে ওই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে দমকল পৌঁছে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালায়। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে শিশু-সহ ২০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
কারখানায় বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। ঘটনার পর জেলা কালেক্টর এবং অন্যান্য কর্মকর্তা সহ প্রশাসনিক আদিকারিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং নিহতদের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে পোস্টমর্টেমের জন্য নেওয়া হয়েছে। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ময়নাতদন্ত করা এবং মৃতদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে?
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই কারখানায় রাখা একটি বয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। তারই জেরে কারখানায় আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে কারখানার দেওয়ালও ভেঙে পড়ে। কেন বয়লারটি বাজি কারখানায় রাখা হয়েছিল? শ্রমিকরা দুই দিন আগে এসেছেন। জানা গিয়েছে, শ্রমিকরা দুই দিন আগে এই কারখানায় কাজ করার জন্য এখানে এসেছিলেন। এই শ্রমিকরা মধ্যপ্রদেশের হান্ডার বাসিন্দা ছিলেন। শ্রমিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারও এখানে বাস করত। এই দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ কার্যকলাপের এই ঘটনা সম্পর্কে জেলা কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, "পুলিশের তদন্তে প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, এটি দীপক ট্রেডার্সের নামে। এই লাইসেন্সটি আতশবাজি সংরক্ষণের জন্য মঞ্জুর করা হয়েছিল। যা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। তিনি আবেদনও করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাবে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তবে, মনে হচ্ছে এরা এখানে অবৈধভাবে আতশবাজি মজুত করেছে।"
এই ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় সাংসদ জেনি বেন ঠাকুর। তিনি বলেন, "রাজকোটের পর এটি দ্বিতীয় এই ধরণের ঘটনা। এটি প্রশাসনের একটি বড় ভুল। অনুমতি দেওয়ার সময় কী বিবেচনা করা হয়েছিল তাও তদন্তের বিষয়। নিহত নিরীহ মানুষের পরিবারকে ন্যায়বিচার প্রদান নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমি একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব করব। রাজকোটের পর যদি রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিত, তাহলে হয়তো এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না। আমি আশা করি দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন- Trump On Iran: এটাই কী ইরানের প্রতি ট্রাম্পের শেষ সতর্কবার্তা? ভয়ঙ্কর পরিণতিতে কাঁপবে বিশ্ব?
বনসকান্তা জেলা কালেক্টর মিহির প্যাটেল সংবাদস্থা ANI-কে বলেন, "আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯:৪৫ নাগাদ দিসার ধুয়ায় এক বিশাল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেলে, তাৎক্ষণিকভাবে একটি দমকলকর্মী দল পাঠানো হয় এবং তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে কারখানার আরসিসি স্ল্যাবটি ভেঙে পড়ে। কেউ নিচে চাপা পড়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে।"