দুর্নীতির অভিযোগে এবার প্রাক্তন রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, চলছে তল্লাশিও

মোট দুটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

মোট দুটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cbi

দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। ২০২১ সালের অক্টোবরে সত্যপাল মালিক দাবি করেছিলেন যে, তাঁকে ৩০০ কোটি টাকার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘুষের বিনিময়ে তাঁকে দু'খানা ফাইল পাস করে দিতে বলা হয়েছিল। ওই দুটো ফাইল ছিল এক আরএসএস নেতার সম্পর্কিত।

Advertisment

সেই সব ব্যাপারেই মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সত্যপাল মালিক জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন। সেই সময়ে দুটি প্রকল্পে অনিয়ম ঘটেছিল। সেসব ব্যাপারে তাঁর কাছে বিস্তারিত জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

ওই দুটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে গত এপ্রিলে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, মালিক নিজেই আগে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর সেই অভিযোগগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একজন সাক্ষী হিসেবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এই দুর্নীতি হওয়ার সময় চেনাব ভ্যালি পাওয়ার প্রোজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড (সিভিপিপিপিএল)-এর চেয়ারম্যান ছিলেন আইএএস অফিসার নবীন চৌধুরী। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয়েছে একটি প্রকল্পের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমএস বাবু, ডিরেক্টর এমকে মিত্তল ও অরুণ মিশ্রর বাড়িতেও। জম্মুতে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সংস্থা প্যাটেল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই।

Advertisment

আরও পড়ুন- কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে বিনিয়োগ আদানির, তিনি একচেটিয়াকরণের বিরুদ্ধে, সুর বদল রাহুলের

এর পাশাপাশি শ্রীনগরে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ও ট্রিনিটি রিইনস্যুরেন্স ব্রোকারস লিমিটেডের বিরুদ্ধেও শ্রীনগরে আলাদা এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিবিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, 'জম্মু-কাশ্মীর সরকারের সুপারিশে দুটি আলাদা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলা দায়ের হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর হেলথ কেয়ার ইনস্যুরেন্স প্রকল্প নিয়ে ২০১৭-১৮ সালে এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ৬০ কোটি টাকা চুক্তির জন্য। আর, দ্বিতীয় অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ২০১৯ সালে কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ২,২০০ কোটি টাকা চুক্তিতে দুর্নীতির কারণে।'

Read full story in English

jammu and kashmir cbi Governor