ভারতে সাংসদ সংখ্যা ৫৪৩ জন, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১৫১ জন সাংসদ এলজিবিটিকিউ নিয়ে এবং তাঁদের ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন লোকসভায়, এমন তথ্য সামনে এল স্টেট অফ কিউ ইউনিয়ন (এসওটিকিউ) নামক একটি ডিজিটাল প্রজেক্টের মাধ্যমে। পিঙ্ক লিস্ট ইন্ডিয়া নামে একটি স্বেচ্ছাসেবকদের গ্রুপের সহায়তায় ভারতে গড়ে উঠেছে ক্যুয়ের পলিটিকাল আর্কাইভ। সমকামী এবং সমকামীতা নিয়ে লোকসভার সাংসদেরা কে কী বলেছেন তার সবটাই ধরা থাকবে এই ডিজিটাল আর্কাইভে।
শনিবার এই আর্কাইভটি পিঙ্ক লিস্ট ইন্ডিয়া তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।এক বছর আগে আজকের দিনেই দেশে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেন পিঙ্ক লিস্ট ইন্ডিয়ার কো ফাউন্ডার স্মৃতি দেওড়া এবং অনিশ গাওয়ান্ডে।
২০১৯ সালে রূপান্তরকামীদের সুরক্ষা আইন ২০১৯ অনুসারে দেশে কী কী সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা সেই কথাও তুলে ধরা আছে এই ওয়েবসাইটটিতে। এমনকী পিঙ্ক লিস্ট ইন্ডিয়া ডিজিটালে লোকসভা প্রার্থীদের একটি তালিকা সংকলন করা হয়েছ যারা রূপান্তরকামীদের অধিকার আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন। এমনকী যারা নীরব থেকেছেন তাঁদের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে গেলে দেখা যাবে একটি সেখানে দু ধরনের গোলাপী রং রয়েছে। যারা এই লড়াইকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা রয়েছেন গাঢ় গোলাপী রঙে। আবার যারা প্রতিবাদে নীরব থেকেছেন তাঁরা হালকা গোলাপী রঙে। প্রতিটি সাংসদের জন্য একটি রিপোর্ট কার্ড এবং পরিসংখ্যানের তালিকাও পাওয়া যাবে।
অনিশ গাওয়ান্ডে বলেন, "ম্যাপে দেখা যাবে সেই সাংসদকে এবং পাওয়া যাবে তাঁর রিপোর্ট কার্ড। সমকামীদের এবং সমকামীতা নিয়ে তাঁরা কে কী মন্তব্য করেছিলেন তা সবটাই রয়েছে সেখানে। খারাপ বললে সেটাও আছে, ভাল বললে সেটাও রাখা হয়েছে। সাংসদদের বক্তব্যকে সমর্থন করা পিঙ্ক লিস্ট ইন্ডিয়ার উদ্দেশ্য নয়।" তবে এই আর্কাইভ অনুযায়ী সিপিআই, এনসিপি এবং কংগ্রেসের সাংসদেরাই লোকসভায় এলজিবিটিকিউ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন