দেশে ফের বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৭ জন। গতকালের থেকে প্রায় অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। যা রীতিমতো উদ্বেগের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮০ জন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে। দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৩৪০। তবে ভয় ধরাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গতকাল মাত্র ১ জনের মৃত্যুর খবর ছিল বুলেটিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা অনেকটাই বেশি।
দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। তাদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং মিজোরাম রয়েছে। এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল দিল্লিতেও লাগামছাড়া সংক্রমণ দেখা গিয়েছে গত কয়েকদিন।
আর ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্র। করোনার দৈনিক ৯০ শতাংশ বৃদ্ধিতে রীতিমতো চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লি এবং আরও তিন রাজ্যে জারি হল করোনা সতর্কতা। ওই সব রাজ্যগুলোয় জনবহুল স্থানে মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি নিষিদ্ধ করা হল। এই ব্যাপারে রাজ্যগুলোকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দেশ যত দ্রুত সম্ভব জারি করতে রাজ্য প্রশাসনগুলোকে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দেশের অসংখ্য নাগরিক করোনার দুটো ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার তৃতীয় ডোজও পেয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যাঁরা তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন, সেই সব ব্যক্তিদের সংক্রমণ রোখার ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। তাঁরা সংক্রমিত হলেও বড় কোনও সমস্যায় পড়বে না-বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
ধাপে ধাপে নাবালকদেরও টিকাকরণ দ্রুতগতিতে চলছে। বহু নাবালক ইতিমধ্যেই করোনার দুটো ডোজই পেয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, কিশোরদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বেশি। তার ফলে চিন্তা কম বলেই স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন।
এদিকে, কেন্দ্রের নির্দেশ পাওয়ার পরই বুধবার বৈঠকে বসছে দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। কী ভাবে মানুষকে সচেতন করা যায় এভং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা যায় তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৬৩২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।