দেশে নিম্নমুখী করোনা-গ্রাফ। স্বস্তি দিয়ে মঙ্গলবার আরও কমল দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৯৭ জন। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের হাজারের উপরে মৃত্যু হল দেশে। তার মধ্যে সিংহভাগই কেরলের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১,১৮৮ জনের। তার মধ্যে ৭৩৩ জন শুধু কেরলের। জানা গিয়েছে, পুরনো রেকর্ডকে গত ২৪ ঘণ্টায় জুড়েছে দক্ষিণের রাজ্য। তাই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। কেন্দ্রের নয়া গাইডলাইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার প্রেক্ষিতে ৭৩৩টি মৃত্যুকে কোভিড মৃত্যু হিসাবে দেখিয়েছে রাজ্য সরকার।
দেশে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। মোট আক্রান্তের এখন ২.৩৫ শতাংশ সক্রিয় রোগী। এখন দেশে অ্যাক্টিভ কেস ৯.৯৪ লক্ষ। দৈনিক সংক্রমণ হার কমে হয়েছে ৫.০২ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণ হারও নিম্নমুখী (৮.৩০ শতাংশ)। গগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড টেস্ট হয়েছে সাড়ে ১৩ লক্ষর মতো।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১.৮০ লক্ষ মানুষ। সুস্থতার হার দেশে এখন ৯৬.৪৬ শতাংশ। এদিকে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় লকডাউনের কারণে দেশের অন্যতম প্রধান শহরগুলিতে আটকে পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এর মধ্যে কংগ্রেস মুম্বই শহরে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার ব্যবস্থা করতে ট্রেনের টিকিট পৌঁছে দিয়েছিল কংগ্রেস, অন্য দিকে দিল্লি সরকার বাসের ব্যবস্থা করেছিল শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে।
আরও পড়ুন পরিযায়ী শ্রমিক সংকট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সরব বিরোধীরা
সোমবার সংসদে এই দুই বিষয়ের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি বললেন, এই দুই সিদ্ধান্তের ফলেই ভুগতে হয়েছিল। সোমবার সংসদে মোদি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের মুম্বই ছাড়ার জন্য টিকিট জুগিয়েছিলেন আপনারা (কংগ্রেস)। আবার দিল্লি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের শহর ছাড়তে বলেছিলেন, বাসেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তার ফলেই পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে দ্রুত কোভিড ছড়িয়ে পড়েছিল। অর্থাৎ সংসদে ঘুরিয়ে কংগ্রেস ও দিল্লির আপ সরকারের ঘাড়ে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির দোষ চাপালেন মোদি।