ভারতে আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস-বিরোধী সম্মলনে ফের একবার বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলল ভারত-আমেরিকা। একদিকে চিন যখন ২৬/১১ মুম্বইয়ে হামলাকারীদের-সহ গত কয়েক সপ্তাহে পাঁচ পাক সন্ত্রাসীকে রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছে, তখন মুম্বইয়ে আয়োজিত সন্ত্রাস-বিরোধী সম্মেলের মঞ্চে ভারত ও আমেরিকা কিন্তু এককাট্টা।
২০০৮ সালে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তইবা। এই তাজ হোটেলেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ জন সদস্য বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এই বৈঠকে মুম্বইয়ে চিনের কনস্যুলেট জেনারেলের একজন ভাইস কনসাল জেনারেল ইয়ান হুয়া ওয়াংও উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি দেশকে পারস্পরিক অভিযোগ এড়াতে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলির পিছনে রাজনীতিকরণ এড়ানোর কথাও শোনা গিয়েছে ওই চিনা আধিকারিকের মুখে।
শুক্র ও শনিবার মুম্বই এবং দিল্লিতে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তির ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এড়ানোর বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস-বিরোধী কমিটির বিশেষ বৈঠকে উঠেছে। এই বৈঠকে ভারতের তরফে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পিছনে থাকা জঙ্গিদের বিস্তারিত বিবরণ আরও একবার প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গোটা দেশে পুলিশের একই ইউনিফর্ম? রাজ্যগুলিকে ভেবে দেখার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
একটি উপস্থাপনায় ভারতের তরফে ২৬/১১-এর মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী সাজিদ মীরের একটি অডিও ক্লিপ শোনানো হয়েছে। সেই অডিও ক্লিপে তাকে নারিমান হাউসে থাকা জঙ্গিদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসেই সাজিদ মীরকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের ভারত-আমেরিকার সেই যৌথ উদ্যোগে জল ঢেলে দিয়েছিল চিন।
রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানে থাকা বা তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের তালিকাভুক্ত করার বিষয়টিতে বারবার আপত্তি তুলছে চিন। সাজিদ মীর, আবদুল রউফ আজহার, আবদুল রেহমান মাক্কি যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। সন্ত্রাস-বিরোধী এই সম্মেলনে লস্কর-এ-তইবার প্রধান হাফিজ সাইদ এবং জাকিউর-রহমান লাখভি-সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো পাক সন্ত্রাসীদের ছবি দেখানো হয়েছে।