Jamia Milia Firing: জামিয়া গুলিকাণ্ডে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এবার মহিলা অপহরণে ইন্ধনের অভিযোগ। তার বক্তব্যের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে এভাবেই বেড়েছে বিতর্ক। রবিবার পতৌদি মহাপঞ্চায়েত একটি সম্মেলন আয়োজন করে। জন্মনিয়ন্ত্রণ, লাভ-জিহাদ এবং ধর্মান্তকরণ নিয়ে সেই সম্মেলন। সেখান থেকেই ভাইরাল হয়েছে সেই বিতর্কিত ভিডিও। যেখানে জামিয়া-কাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর ‘জিহাদি’ মানসিকতায় বিশ্বাসীদের উদ্দেশে বলেছে, ‘যদি আমি কয়েকশো মাইল দূরে জামিয়া যেতে পারি, তাহলে পতৌদি খুব একটা দূরে নয়।‘ সেই ভিডিওয় প্রয়োজনে মুসলিম মহিলাদের অপহরণের জন্য সুর চড়িয়েছেন সেই কিশোর। সে বলেছে, হিন্দু মহিলাদের ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেলে, মুসলিম মহিলাদের অপহরণ করা হবে। এমনটাই অভিযোগ পঞ্চায়েতে করা হয়েছে।
এমনকি, মুসলিমরা আক্রান্ত হলে জয় শ্রীরাম বলবে। সেই ভিডিওতে এভাবেও সরব হয়েছে সেই কিশোর। ঠিক কী বলেছে ওই কিশোর? সে বলেছে, ‘পতৌদি থেকে জিহাদি, সন্ত্রাসীদের শুধু এটাই বলব, যদি আমি সিএএ-র সমর্থনে একশো কিমি দূরে জামিয়া যেতে পারি। তাহলে পতৌদি খুব দূরে নয়।‘ তাঁর এই বক্তব্যের শেষে জয় শ্রীরাম স্লোগানও শোনা গিয়েছে।
গত বছর ৩০ জানুয়ারি জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলি চালনার ঘটনায় অভিযুক্ত এই কিশোর। সেই সময় সিএএ-বিরোধী একটা অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেই মুহূর্তে আন্দোলনকারীদের দিকে বন্দুক তাক করে সেই কিশোর বলেছিল, এই নাও আজাদি। এই দেশে থাকতে গেলে বন্দে মাতরম বলতেই হবে। দিল্লি পুলিশ জিন্দাবাদ বলেই সে গুলি চালায়। সেই ঘটনায় জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জখম হয়েছিলেন। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই কিশোরকে।
তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের হলেও, কিশোর হওয়ার কারণে কিশোর ন্যায় আদালতে তার বিচার চলে। পাঠানো হয় কিশোর সংশোধনাগারে। কিছু মাস পর ছাড়া পায় সেই কিশোর। এদিকে, এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশ ক্রাইম বেঞ্চ বলেছে, তারা এখনও কোনও অভিযোগ পায়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন