ফের নারকীয় খুন! প্রেমিকাকে হত্যা করতে আগে থেকেই সেড়ে রাখা হয় সকল প্ল্যান। দিল্লির হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। পাথরের স্ল্যাব দিয়ে মাথা থেঁতলে প্রেমিকাকে হত্যা। ফের এক নৃশংস খুনের সাক্ষী থেকেছে দিল্লি।
প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত রাস্তায় এক কিশোরীকে পরপর ছুরির আঘাত, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে কিশোরী। দূরে দাঁড়িয়ে ঘটনা ফ্রেমবন্দী করছেন বেশ কিছু মানুষ তাও কেউ এগিয়ে আসেন নি। শেষে কিশোরীকে একেরপর এক লাথি এবং পাথরের স্ল্যাব তুলে নিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় তার মুখ। এই জঘন্য হত্যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে খুনের ঠিক আগেই বেশ কয়েক বার দিল্লির উত্তরের রোহিনী এলাকায় চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে ওই যুবককে। যুবকের উন্মত্ততা হাড়হিম করেছে গোটা দেশের। মঙ্গলবার দিল্লির শাহবাদ ডেইরির এক সরু গলির ভিতর নিজের প্রেমিকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে সাহিল খান। পুলিশ সূত্রে খবর, সাহিলকে খুনের সিসিটিভি দেখানো হলে সে স্বীকার করে, "ভিডিওতে দেখা ছেলেটি আমি, মেয়েটিকে আমিই খুন করেছি।"
ভিডিওতে সাহিলের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরেক যুবককে। দুজনকেই কথা বলতে দেখা যায়। নির্যাতিতা ও সাহিল দুজনেই একে অপরকে তিন বছর ধরে চিনতেন এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। দুজনেই একে অপরের ইন্সটা অ্যাকাউন্ট ফলো করতেন। মেয়েটি জানত সাহিলের পুরো নাম 'সাহিল খান'। রবিবার(২৮ মে) রাতে সাহিল এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এই হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে, যেখানে সাহিলকে তার ১৬ বছরের নাবালিকা প্রেমিকা ২০ বারের বেশি 16 ছুরিকাঘাত করতে দেখা গেছে এবং তারপর চলে একের পর এক লাথি। অবশেষে পাথরের স্ল্যাব তুলে ছুঁড়ে পিষে দেয় কিশোরীকে।
রবিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি তার বন্ধুর মেয়ের জন্মদিনের পার্টিতে কেনাকাটা করতে গেলে অভিযুক্ত যুবক তাকে বাধা দেয় এবং তার উপর হামলা চালায়। সোমবার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে ২০ বছর বয়সী অভিযুক্ত সাহিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের শরীরে ৩৪টি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে এবং তার মাথার খুলি ফেটে গেছে। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, সাহিলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথা তিনি জানতেই। তিনি মেয়েকে সে সব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে পড়াশুনায় মনযোগ দিতে বলেছিলেন।
দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন অভিযুক্ত এবং মৃতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার তাদের মধ্যে কিছু নিয়ে বচসা হয়। তারপরই খুনের পরিকল্পনা। খুনের সময় ব্যস্ত রাস্তায় সময় পথচারীরা কেউ অভিযুক্তকে আটকানোর চেষ্টা করেননি।