মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই চার্জ গঠন করল বিশেষ এনআইএ আদালত। অভিযুক্তরা হলেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) রমেশ উপাধ্যায়, সমীর কুলকার্নি, অজয় রাহিরকর, সুধাকর দ্বিবেদী এবং সুধাকর চতুর্বেদী। এঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র, হত্যা এবং অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জ গঠনের তারিখ স্থগিত রাখার ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিতের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ ধারায় মামলা চলবে। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন কার্যকর নয় বলে যে আবেদন অভিযুক্তরা করেছিলেন, এ মাসেই তা খারিজ করে দিয়েছে বিশেষ এনআইএ আদালত।
আরও পড়ুন, মোদির বিরুদ্ধে আপত্তিকর ফেসবুক পোস্টের অভিযোগের জেরে বিপাকে আসামের শিক্ষক
মামলার পরবর্তী শুনানি ২ নভেম্বর।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিত এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনে স্থগিতাদেশ দিতে সোমবারই অস্বীকার করে বম্বে হাইকোর্ট। তবে ইউএপিএ-তে মামলা চলার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পুরোহিত যে আবেদন করেছিলেন তা শুনতে রাজি হয়েছে এস এস শিণ্ডে এবং এ এস গড়করির বেঞ্চ।
২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিশেষ এনআইএ আদালত পুরোহিত, ঠাকুর এবং অন্য অভিযুক্তদের এ মামলা থেকে রেহাইয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। সে সময়ে আদালত মহারাষ্ট্রের বিশেষ সন্ত্রাস নিবারণী আইন Maharashtra Control of Organised Crime Act (MCOCA) থেকে অভিযুক্তদের রেহাই দেয়। তবে একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয় যে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইউএপিএ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা চলবে।
কর্নেল পুরোহিত তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে সওয়াল করেছিলেন যে সরকারের দেওয়া ছাড়ের সুবাদে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা যাবে না। ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্য সচিব এ ব্যাপারে পুরোহিতকে ছাড় দিয়েছিলেন।
Read the Full Story in English