সেনার গুলিতে নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু ক্ষত এখনও শুকোয়নি। এবার কেন্দ্র্রের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অসহযোগিতার পথে হাঁটছে নাগাল্যান্ড। সোমবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যে বিধানসভায় AFSPA প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পাশ হল। আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট বা AFSPA তুলে নিতে হবে দাবি তুলে আগেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই AFSPA-র আওতায় সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্র। যার বলে সেনা কোনও পরোয়ানা ছাড়া যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে বা প্রয়োজনে গুলি করে মারতে পারে। এমনই পরিস্থিতিতে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় ওটিং গ্রামে গত কয়েক দিন আগে ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসী সেনার গুলিতে নিহত হন। জঙ্গি ভেবে ভুল করে গুলি চালায় বলে সংসদে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কিন্তু কেন্দ্রের কথায় আর চিড়ে ভিজছে না উত্তর-পূর্বে। AFSPA প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়। মুখ্যমন্ত্রী রিও বলেছেন, গোটা নাগা সমাজ AFSPA-র প্রত্যাহার চাইছে। তিনি এদিন বিধানসভায় বলেন, বিধানসভা অবশ্যই মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান জানাবে। মানুষের দাবি, এই অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
এদিন অধিবেশনের শুরুতে সমস্ত বিধায়ক-স্পিকার দুমিনিটের জন্য নীরবতা পালন করেন নিহতদের উদ্দেশে। এই প্রস্তাবে সেনার গুলিতে নিরীহ গ্রামবাসীর হত্যার নিন্দা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করা হয়। এমনকী যাঁরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে তাঁদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে হাউস।
আরও পড়ুন জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস: ডিলিমিটেশন কমিশনের প্রস্তাব ঘিরে প্রবল বিতর্ক
অধিবেশন চলাকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী ইয়ানথুঙ্গো প্যাটন বলেছেন, ক্ষমতা এবং সাহসের বলে নিরাপত্তা বাহিনী এই গণহত্যা ঘটিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই চলে আসছে। তিনি বলেছেন, কেন্দ্র যেন অবশ্যই রাজ্যের মতামত নিক। রাজ্যের কোনও এলাকা গন্ডগোলের জন্য চিহ্নিত করার আগে যেন সরকারের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্র।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন