Advertisment

ডিজের আওয়াজে শোনাই যায়নি অন্য সম্প্রদায়ের স্লোগান, তারপরও হরিদ্বারে গ্রেফতার ৯

হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের দাবি, তাঁরা ওই এলাকায় পৌঁছতেই শুরু হয় অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্লোগান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tension in Karnataka’s Mulbagal after stones pelted at Rama Shobha Yatra, five detained

প্রতীকী ছবি

হরিদ্বারে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার অভিযোগে মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। তার মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার পাশাপাশি অন্য সম্প্রদায়ের স্লোগান দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় হনুমান জয়ন্তীর মিছিলটি দণ্ড জালালপুর এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়। ভগবানপুর থানার পুলিশ ও আশপাশের বিভিন্ন থানার পুলিশ গ্রামটি ঘিরে ফেলে। এরপরই শুরু হয় অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি। হরিদ্বারের ডিআইজি করণসিং নাগনিয়াল জানিয়েছেন, হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা বিকেল ৩টের সময় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা শুরু হতে দেরি হয়। শেষ পর্যন্ত সন্ধে ৬টার সময় শুরু হয় শোভাযাত্রা। রাত ৮টা ১০ নাগাদ শোভাযাত্রা পৌঁছয় দণ্ড জালালপুর এলাকায়। ২০০ মিটার লম্বা ওই এলাকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।

Advertisment

হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের দাবি, তাঁরা ওই এলাকায় পৌঁছতেই শুরু হয় অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্লোগান। সঙ্গে, চলতে থাকে পাথরবৃষ্টি। পাথরের আঘাতে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধরপাকড় শুরু হতেই বেশ কয়েকজন এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন পুলিশকর্তা। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারায় দাঙ্গা বাঁধানো, ১৪৮ ধারায় হত্যার উদ্দেশ্যে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে হামলা, জাতি, ধর্ম, ভাষা, জন্মস্থান- প্রভৃতির কারণে সৌভ্রাতৃত্ব নষ্ট করা-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন- ফের করোনার চোখরাঙানি, দিল্লিতে বাড়ছে সুনামির গতিতে, প্রকাশ সমীক্ষায়

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ বুলডোজার নিয়ে গ্রামে পৌঁছেছে। পলাতকদের চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ডিআইজি নাগনিয়াল ও ভগবানপুর থানার পুলিশ আধিকারিক। তাঁরা দাবি করেছেন, অন্য কারণে বুলডোজার আনা হয়েছিল। যদিও পুলিশ এত তত্পর হলেও অভিযোগকারী পবন কুমার জানিয়েছেন, ডিজে বাজায় তাঁরা স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের তোলা স্লোগান শুনতেই পাননি। যেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই গ্রামের মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ মুসলিম সম্প্রদায়ের।

Read story in English

Hanuman Jayanti procession pelting stones
Advertisment