সদ্য নিযুক্ত সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাওকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। দায়িত্বে আসার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে প্রকাশ পেল, গত আগস্টেই ওড়িশা ক্যাডারের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন রাও।
ডিরেক্টর জেনেরাল পদের জন্য যোগ্যতম প্রার্থী কে খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে যে এক্সপার্ট কমিটি নিয়োগ করা হয়, তার সদস্যরা বঞ্চিত করেছেন নাগেশ্বর রাওকে, এই তাঁর মূল অভিযোগ। এক্সপার্ট কমিটির সদস্যেরা ওড়িশা ক্যাডারের হওয়া সত্তেও নিজেদের মধ্যেই বিভাজন তৈরি করতে চাইছেন আধিকারিকরা। স্বভাবতই ওই একই ক্যাডারের অফিসার রাওকে ক্রমাগত বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর।
কমিটির সামগ্রিক দায়িত্বে থাকা রাকেশ জওহরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন রাও। প্রসঙ্গত, রাকেশ জওহর বিহার ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। চাকরি জীবনের শুরুতে প্রশিক্ষণের সময়ে সর্দার প্যাটেল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে রাও-এর ইন্সট্রাক্টর ছিলেন জওহর।
আরও পড়ুন, সল্টলেকের সংস্থাকে ১.১৪ কোটি টাকা দিয়েছিলেন সিবিআই প্রধানের স্ত্রী
"জওহরের নানা কারণে আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ক্ষোভ রয়েছে, স্বভাবতই ডিরেক্টর জেনেরাল-এর পদের জন্য আধিকারিকের নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়তে পারে," আগস্ট মাসের চিঠিতে উল্লেখ করেছেন নাগেশ্বর রাও।
মঈন কুরেশি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক এবং ২ নম্বর গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর পর অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসেবে নাগেশ্বর রাও-কে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। রাজনীতিক মহলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ১৯৮৬ সালের ওড়িশা ক্যাডারের আইপিএস অফিসার নাগেশ্বর রাও-এর। ২০০৮ থেকে ২০১১-এর মধ্যে সিআরপিএফ-এ ছিলেন রাও। ২০১৬ সালে সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।
উল্লেখ্য, সদ্য অপসারিত সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মার আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআই-এর নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাওকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
Read the full story in English