ইতিমধ্যেই জাইডাস ক্যাডিলার তিন ডোজের করোনা টিকা জাইকভ-ডি কে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। ফলে ১২ বছরের উর্ধ্বদের টিকাকরণে আশার আলো দেখা গিয়েছে। অতি দ্রুত এই টিকা মিলবে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তবে সবটাই নির্ভর করছে সরকারি অনুমতির উপর। জাইডাসের তরফে বলা হয়েছে, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাইকভ-ডি টিকা পাওয়া যেতে পারে।
ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জাইডাসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সারভিল প্যাটেল বলেছেন, "সরকারের টিকানীতি অনুসারে সব হচ্ছে, স্কুল, কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা দ্রুত টিকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি। তবে সবটাই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। আশা করছি প্রত্যাশাপূরণ করতে পারব। সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই সম্পূর্ণটা নির্ভর করছে।"
জাইডাস দেশে সর্বপ্রথম ডিএনএ ভিত্তিক কোভিড টিকা তৈরি করেছে। জাইকভ-ডি ১২ বছরের উর্ধ্বদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যাবে।
আরও পড়ুন- অক্টোবরের মধ্যেই মাসে ১ কোটি টিকার ডোজ, আশার বাণী শোনাল Zydus Cadila
জাইকভ-ডি টিকার মূল্য কত হতে পারে? জবাবে সারভিল প্যাটেল বলেন, "সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। হ.তো আগামী সপ্তাহে জাইকভ-ডি ভ্যাকসিনের দামের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব।" তবে, বর্তামানে যেসব টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে সেগুলির দামের তুলনায় জাইকভ-ডি এর প্রতি ডোজের মহল্যের খুব একটা তারতম্য হবে না।
সেপ্টেম্বরে মদ্যে পাঁচ কোটি করোনা টিকা তৈরির পরিকল্পনা ছিল জাইডাসের। কিন্তু সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ-এর কারণে সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে বলে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে। তবে, আমেদাবাদে ইতিমধ্যেই করোনার টিকা তৈরির প্ল্যান্টের কাজ সম্পন্ন। অক্টোবর থেকেই তাই জাইডাসের টিকা উৎপাদনের পরিমান বাড়ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে জাইডাস তিন-চার কোটি ডোজ উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি করেছেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সারভিল প্যাটেল।
টিকা উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভারত ও বিদেশি কয়েকটি সংস্থাকে টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তরেরও চিন্তাভাবনা করছে জাইডাস। এছাড়া, জাইডাসের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ হতে আরও চার-ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। ডেল্টা ভাইরাস আক্রান্তদের উপর প্রয়োগে দেখা গিয়েছে ডাইডাস-ডি এর কার্যকারিতার হার ৬৬ শতাংশ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন