ভোটের আগে গ্রামবাসীরাই নিলেন প্রার্থীদের 'পরীক্ষা', পাশ করলে তবেই ভোট?

এব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে দেখবেন।

এব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে দেখবেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Hamro Party wins Darjeeling municipal polls

আত্মপ্রকাশেই বাজিমাত নতুন দলের।

অবাক কাণ্ড ওড়িশায়। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা বসলেন 'প্রবেশিকা পরীক্ষা'য়। গ্রামবাসীরাই এই 'পরীক্ষা'র বন্দোবস্ত করেছিলেন। গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন এই 'পরীক্ষা'র ফলপ্রকাশ। পাশ করলে তবেই কী মিলবে সমর্থন? বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিতটা রয়েই গেল।

Advertisment

ওড়িশায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েকদিন আগে অভূতপূর্ব একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। রাজ্যের সুন্দরগড় জেলার আদিবাসী-অধ্যুষিত গ্রাম মালুপাদা। এই গ্রামের বাসিন্দারাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে প্রার্থীদের 'পরীক্ষা'র বন্দোবস্ত করেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থীদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মৌখিক এবং লিখিত 'প্রবেশিকা পরীক্ষার' আয়োজন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, মালুপাদা গ্রামের কুটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রার্থীদের 'যাচাই'য়ের দায়িত্ব নিজেদের হাতেই তুলে নিয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় স্কুল ক্যাম্পাসের একটি বৈঠকে গ্রামের নয় প্রার্থীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের জন্য 'পরীক্ষা'র বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এমনই জানিয়েছেন সদ্য ওই 'পরীক্ষা'য় অংশ নেওয় পঞ্চায়েত ভোটের এক প্রার্থী। সরপঞ্চ পদে দাঁড়ানো আটজন ওই বৈঠকে এসেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ওই দিন রাত ৮টা পর্যন্ত "প্রবেশিকা পরীক্ষা" চলে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঠিক কী ধরনের প্রশ্ন এসেছিল 'পরীক্ষা'য়? আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়ানো ওই প্রার্থী জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণ, একজন সরপঞ্চ প্রার্থী হিসেবে পাঁচটি লক্ষ্য, কল্যাণমূলক কাজে জড়িত থাকার বিশদ বিবরণ সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল। এছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকাগুলি সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয় 'পরীক্ষা'য়। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি 'পরীক্ষা'র ফল প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisment

আরও পড়ুন- সতর্ক প্রশাসন, কাল থেকেই উদুপির স্কুলগুলির আশেপাশে ১৪৪ ধারা

এদিকে, মালাপুদা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে স্থানীয় বিডিও তথা নির্বাচনী আধিকারিক রবিন্দ শেঠি বলেন, ''এর জন্য কোনও সরকারি ব্যবস্থা নেই। এটা আমিও শুনেছি। তবে কেউ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেননি। বিষয়টি আমার কাছে এলে তদন্ত করে দেখব।''

উল্লেখ্য, ওড়িশার আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট এবার পাঁচ দফায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট চলবে ওড়িশায়। ভোট দেবেন ২.৭৯ কোটিরও বেশি ভোটার। আগামী ২৬-২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভোটের ফল গণনা।

Read story in English

panchayat vote panchayat election odisha