রবিবার সকালে প্রার্থনা চলাকালীন তিন গির্জা এবং হোটেলে একাধিক বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা। মৃতের সংখ্যা ১৬০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪০০ এর কাছাকাছি। উদ্ধার কাজ চলছে। এর মধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে দিন দশেক আগে থেকেই দেশের প্রথম সারির গির্জা এবং ভারতীয় হাই কমিশনে সন্ত্রাসবাদী হামলার সতর্কতা জারি করেছিল শ্রীলঙ্কার পুলিশ।
ওই সতর্কতায় আরও বলা হয়, ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত(এনটিজে) কলম্বোর ভারতীয় হাই-কমিশন এবং শহরের বিখ্যাত গির্জায় আত্মঘাতি হামলা চালাতে পারে।’
ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত এর আগে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস করার ঘটনায় আলোচনায় এসেছিলো। সতর্কতাটি ১১ এপ্রিল জারি করা হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা।
রবিবারের হামলাটি কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানের তিনটি গির্জায় চালানো হয়। এছাড়া দেশটির রাজধানীর অভিজাত তিনটি হোটেল সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি তিনটি হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
হামলা প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে "ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই এমন হামলাকে সমর্থন করা যায় না"।
সকাল থেকে তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। হোটেলগুলির প্রতিটিতেই অসংখ্য পর্যটকদের নিয়মিত যাতায়াত চলে। রয়টার্স মারফত খবর, ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াডের উপস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চলছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা বিমানবন্দর। যাত্রী ছাড়া আর কাউকেই বিমানবন্দরের ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কলম্বো শহরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অন্তত পক্ষে ৬টি বিস্ফোরণ হয়েছে দেশের একাধিক শহরে। বিস্ফোরণে জখম ৮০ জনকে কলম্বোর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে একটি আপতকালীন বৈঠক ডেকেছেন।
Read the full story in English