Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত! 'খনিজগুলির উপর দেওয়া রয়্যালটি ট্যাক্স নয়, রাজ্যগুলির কর আরোপের অধিকার রয়েছে'। এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন তার রায়ে ৩৫ বছর আগের রায় বাতিল করে বলেছে 'খনিজের উপর রাজ্যের কর আরোপের অধিকার আছে, রয়্যালটি কোনো কর নয়'। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) খনিজ সম্পদের উপর কর আদায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ৯ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। CJI বলেছেন যে বেঞ্চ ৮:১ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে খনিজগুলির উপর রয়্যালটি ট্যাক্স হিসাবে বিবেচিত হবে না। সিজেআই বলেছেন যে খনি ও খনিজ উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ আইন (এমএমডিআর) কর সংগ্রহের জন্য রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে না। খনিজ ও খনি জমির উপর কর আদায়ের সম্পূর্ণ অধিকার রাজ্যগুলির রয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং খনি সংস্থাগুলির পক্ষে ৮৬ টি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে। এর অধীনে, এই খনিজগুলির জমির উপর খনিজ রয়্যালটি এবং কর আরোপের রাজ্য সরকারের অধিকারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান ছিল যে রাজ্যগুলির রয়্যালটির পরে কর আরোপের অধিকার থাকা উচিত নয়। ৮ দিন শুনানির পর, ১৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট তার রায় সংরক্ষণ করে। আজ সকাল সাড়ে দশটায় টায় রায় দেওয়ার সময়, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের দাবিকে খারিজ করে দেয়।
খনিজ সমৃদ্ধ রাজ্যগুলিকে বড় স্বস্তির খবর দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট খনিজ জমিতে রয়্যালটি আরোপের রাজ্য সরকারের অধিকারকে বহাল রেখেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে রাজ্যগুলির রয়্যালটি আরোপের ক্ষমতা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বাংলা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো খনিজ সমৃদ্ধ রাজ্যগুলির জন্য একটি বড় জয়। কারণ এই রাজ্য সরকারগুলি তাদের নিজ নিজ রাজ্যে কাজ করা খনি সংস্থাগুলির কাছ থেকে খনিজগুলির উপর কর আদায় করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন - < Royal Bengal Tiger: সুন্দরবনের জঙ্গলে বাড়ল বাঘের সংখ্যা, বাংলায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার পরিবার আরও বড়! >
গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল – সংবিধানে খনিজ অধিকারের ওপর কর আরোপের অধিকার শুধু সংসদের নয়, রাজ্যগুলিকেও দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের অধিকার দমন করা যাবে না। ৯ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি বিভি নাগারথনা, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়া, বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ। এর মধ্যে বিচারপতি বিবি নাগরথনার অন্য বিচারপতিদের থেকে ভিন্ন মত ছিল। বিভি নাগারথনা বিশ্বাস করেন যে রাজ্যগুলিকে কর সংগ্রহের অধিকার দেওয়া উচিত নয়। এতে এসব রাজ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল যে 'রয়্যালটি' এক ধরণের কর। সুপ্রিম কোর্টের আজকের সিদ্ধান্তে, ১৯৮৯ সালের সেই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে বলা হয়েছে, 'রয়্যালটি কোন কর নয়'।