Advertisment

সীমান্ত নিয়ে ইন্দো-চিন বৈঠকের আগে ওয়াশিংটনের বার্তা! দিল্লিকে কী জানালেন বাইডেনের দূত

Ladakh Dispute: ইস্টার্ন লাদাখের ঝুলে থাকা সীমান্ত বিবাদ মেটাতে বুধবার ১৪তম বৈঠকে বসছে ইন্ডিয়া এবং চিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
LAC talks end in stalemate, ‘Chinese side not agreeable to suggestions’, says Indian Army

দফায়-দফায় বৈঠকেও রফা মিলছে না। ভারত-চিন সীমান্ত দ্বন্দ্ব জারি।

Ladakh Dispute: বুধবার সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বৈঠকে বসছে ইন্দো এবং চিন। তার আগে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিল ওয়াশিংটন। পড়শিদের ভয় দেখানোর কূটনীতি করছে বেজিং। সহযোগী দেশগুলোকে সর্বত্র ভাবে সাহায্য করবে ইউএস। এভাবেই মঙ্গলবার সরব হয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের প্রেস সচিব জেন সাকি। জানা গিয়েছে, ইস্টার্ন লাদাখের ঝুলে থাকা সীমান্ত বিবাদ মেটাতে বুধবার ১৪তম বৈঠকে বসছে ইন্ডিয়া এবং চিন। তার আগে জেন সাকির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।  

Advertisment

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং চাইছি আলোচনার মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হোক।‘ সাপ্তাহিক প্রেস বৈঠকে তাঁকে চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের জবাব মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এই অবস্থান এবং চিনের পড়শি দেশের প্রতি ভয় দেখানোর কূটনীতি বজায় থাকলে, সেই অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতি নষ্ট হতে পারে।‘  

ভারতের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্ক প্রসঙ্গে সাকি জানান, অনেকগুলো লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সরকার ভারতের সঙ্গে দৌত্য বাড়াবে। অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যবস্থা, দ্বিপাক্ষিক এবং কোয়াড গোষ্ঠীর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ান হবে। বাণিজ্য, সাইবার এবং প্রযুক্তিগত মাধ্যমে সহযোগিতা বাড়ানো বিডেন সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য।

এদিকে, প্যাংগং হ্রদের ধারে ২০২০ সালের মে মাসে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন সেনা৷ আবারও চিনের আগ্রাসনে বেড়েছে উদ্বেগ। এবার প্যাংগং হ্রদের  উপর সেতু নির্মাণ করছে চিন। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে এই ছবি ধরা পড়েছে। যা নিয়ে রক্তচাপ বেড়েছে দিল্লির।

ভূ-গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন উপগ্রহ চিত্র টুইট করে দাবি করেছেন, প্যাংগং হ্রদের উপরে সেতু নির্মাণ করছে বেজিং। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে খুব কম সময়ের মধ্যে সীমান্তে পৌঁছে যাবে লালসেনা। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, ভারতকে চাপে রাখতেই চিন এই সেতু তৈরি করছে। যদিও যে স্থানে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেটি চিনের সীমান্ত অংশের মধ্যে পড়ে। তাও এই সেতু নির্মাণে লাল সেনার অন্য মতলব আঁচ করছে, ভারত।

হ্রদের দুইদিক জুড়ে ফেলতে পারলে চিন অতি দ্রুত সৈন্য ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র পারাপার করতে পারবে৷ সাইমন টুইটে দাবি করেছেন, হ্রদের একটি সংকীর্ণ অংশে  সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে৷ সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র কয়েকমিটার দুরেই এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ভারতের বিরুদ্ধে সেনা এবং যুদ্ধসরঞ্জাম জড়ো করতে চিন আরও সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যাবে বলে মত কূটনীতিকদের। একই সঙ্গে প্যাংগংয়ের দুই তীরেই তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ আরও প্রশস্ত হবে। প্যাংগংয়ের উত্তর তীরের ফিঙ্গার ৮ থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন

Eastern Ladakh Ladakh Dispute Indo-China Talks
Advertisment