রাজ্যসভায় তাঁর মনোনয়ন গৃহীত হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন এমডিএমকে প্রধান ভাইকো। গত সপ্তাহে দেশদ্রোহিতার মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। তার পর থেকেই তাঁর মনোনয়ন নিয়ে নানা রকম আলাপ-আলোচনা চলছিল।
১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১৮ বছর সাংসদ ছিলেন ভাইকো। ২৩ বছর পর রাজ্যসভায় ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি।
রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতে গেলে একজন প্রার্থীর ৩৪টি ভোটের প্রয়োজন। রাজ্য বিধানসভায় নিজেদের ক্ষমতানুসারে এআইএডিএমকে এবং ডিএমকে দু দলেরই রাজ্যসভায় তিনজন করে সাংসদ পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে।
ভোট পূর্ববর্তী চুক্তি অনুসারে ডিএমকে রাজ্যসভায় এমডিএমকে-র জন্য একটি আসন ধার্য করেছে। ভাইকোর ৬ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিল করার কথা ছিল, কিন্তু একদিন আগে বিশেষ আদালতের বিচারপতি জে শান্তি ২০০৯ সালের দেশদ্রোহিতা মামলায় ভাইকোকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যসভা ভোটে যদি ভাইকোর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, এই আশঙ্কায় বরিষ্ঠ আইনজীবী এন আর ইলাঙ্গোকেও মনোনয়ন দিয়েছে ডিএমকে।
ভাইকোর মনোনয়নপত্র গৃহীত হয়ে যাওয়ার পর ১১ জুলাইয়ের মধ্যেই ইলাঙ্গো তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন বলে প্রত্যাশা করবেন।
এমডিএমকে সদর দফতরে ভাইকো সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীন ভারতে এখনও পর্যন্ত কেউ দেশদ্রোহিতা আইনে সাজা পাননি।
২০০৯ সালের ১৫ জুলাই নিজের লেখা বই প্রকাশ করতে গিয়ে ভাইকো শ্রীলঙ্কায় তামিল হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন। তিনি এলটিটিই-কে সমর্থন করেন এবং মাহিন্দ্র রাজাপক্ষে নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা সরকারকে সমর্থন করার জন্য ভারত সরকারকে অভিযুক্ত করেন। এর পরই দেশদ্রোহিতা সহ অন্যান্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।