Advertisment

শিশুদের কতটা সুরক্ষিত থাকা প্রয়োজন ওমিক্রন থেকে! জেনে নিন

ওমিক্রন থেকে শিশুদের সুস্থ রাখুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

Omicron And Child Health: শিশুদের মধ্যে কিন্তু প্রথম থেকেই ইমিউনিটি এতই বেশি যে চিন্তার কোনও কারণ ছিল না। দ্বিতীয় ঢেউ এর পর থেকেই চিকিৎসকরা জানান দিয়েছেন তৃতীয় ঢেউ এলেই এবার সবথেকে বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ওদেরই। তবে সময় বলছে এখনও ওদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি সঠিকভাবে। এর মধ্যেই ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ। এবং ওমিক্রন থেকে তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে এমনই বিশ্বাস সকলের। 

Advertisment

এবিষয়ে বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, ভয় পাওয়ার মতই। ওমিক্রনের মিউটেশন এতই বেশি যে, বাচ্চাদের ইমিউনিটি কেও এটি ভাঙতে পারে তাই অবশ্যই ওদের এখন থেকে বেশ সাবধানে থাকা উচিত। তার মধ্যে অবশ্যই ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিত। 

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, যেখানে এটি একটি ভ্যাকসিন ইন্ডিউসড ভাইরাস তাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা মানুষদেরই ভয় থাকছে সেখানে শিশুদের একটি ডোজ সম্পূর্ণ হয়নি। তাই যথেষ্ট উদ্বেগ থাকার মতই বিষয়। এটি মানবদেহে দীর্ঘদিন বাসা বাঁধতে পারে তাই এর থেকে সাবধান থাকাই ভাল। 

শিশুদের ক্ষেত্রে কেমন সতর্কতা প্রয়োজন? 

পরিস্থিতি বলছে, স্কুল কলেজ সর্বত্রই খুলে গেছে। এবং তারা একে একে যেতেও শুরু করেছে। এই সময় দাঁড়িয়ে ওদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশ। আর সাউথ আফ্রিকার স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে বেশিরভাগ কিন্তু শিশুরাই ঐদেশে আক্রান্ত। কিংবা সল্প পরিমাণে হলেও রোগের হদিশ ওদের শরীরেই মিলছে। 

ভারতবর্ষের বেশ কিছু শহরে শিশুরাও করোনা ভাইরাস নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে তবে টেস্ট সহজেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কিনা সেই সম্পর্কে বলতে পারছে না। বিভিন্ন শহরের চিকিৎসকদের বক্তব্য তাদের মধ্যে অক্সিজেনের অভাব এবং গলা চুলকানির অনুভূতি বেশি। তবে বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না এই লক্ষণ, খুব বেশি হলেও ২/৩ দিন। 

সাউথ আফ্রিকার রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথম দিকে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছিল তবে এখন সেটি বছর পাঁচেক শিশুতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রথম থেকেই যদি ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত না করা হয় তবে সকলের পক্ষেই মুশকিল। বাচ্চাদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও ভুগবেন। 

এমনিও ভারতের জনসংখ্যা অনেক বেশি, তারমধ্যে দেশজুড়ে স্কুল খুলে গিয়েছে তাই ওদের জন্য সত্ত্বর টিকার ব্যবস্থা করলেই এর থেকে একটু রেহাই মিলবে। এছাড়াও সর্বক্ষণ মাস্ক অথবা স্যানিটাইজার এগুলি ওদের সঙ্গে রেখে দিতে হবে। 

পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেন, শিশুদের দৈহিক প্রয়োজনে অনেকরকম টিকা অথবা বুষ্টার দরকার পরে। এগুলির ক্ষেত্রে একেবারেই দেরি করবেন না, সময় মতই সেগুলো দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। ওদের ইমিউনিটি বাড়ানো খুব প্রয়োজন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Omicron health COVID-19 child health
Advertisment