করোনা সংক্রমণে পরবর্তীতে মানুষ নানারকম শারীরিক অবস্থার শিকার হচ্ছেন। সেগুলির মধ্যে যেমন দুর্বলতা কিংবা অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে ঠিক তেমনই রয়েছে কানে তালা লেগে যাওয়ার মত সম্ভাবনা অথবা কম শোনার মত সমস্যা। হিসেব মত শরীর সুস্থ হওয়ার পথে বহুদিন ধরে যদি আপনি কানে শুনতে অস্বস্তি বোধ করেন তবে কিন্তু সেটি চিকিৎসকের জানা প্রয়োজন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যারা বিশেষ করে ভার্টিগো অথবা কানে শব্দ শোনার মত সমস্যায় ভোগেন, তাদের মধ্যে কিন্তু করোনা পরবর্তীতে কম শোনার মত সমস্যা চাগাড় দিতেই পারে। অনেকসময় এমনও দেখা যাচ্ছে যারা প্রচন্ড জোরে কথা বলেন অথবা চিৎকার করেন তারাও কিন্তু সমান সমস্যায় ভুগতে পারেন। যদিও এই উপসর্গটি খুব অসাধারণ একটি বিষয়, সকলে সমান বুঝতে নাও পারেন।
গবেষণা কী বলছে এই প্রসঙ্গে?
মার্কিন প্রদেশের গবেষণা বলছে, কানের ভেতরে ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার করা খুব স্বাভাবিক বিষয়। বিশেষ করে কানের পর্দার কাছে, অভ্যন্তরীণ কোষগুলিকে নিস্তেজ করে দিতে পারে করোনা ভাইরাস। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারত সকলেই আশঙ্কা করছেন আসলেই এমন কিছু হতেই পারে। এবং তার জন্য বেশ কিছু এমন রোগীদের ওপর তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন, এবং যতদূর জানা যাচ্ছে কোভিডের কারণেই মানুষের কানে শোনার ক্ষমতা হারিয়েছে কম করে ২০%।
কানে তালা লেগে যাওয়ার সমস্যা সাধারণত অত্যধিক দৈহিক তাপমাত্রা কিংবা বয়সের কারণে হতেই পারে। আবার অনেকেই এমন আছেন যারা দাঁতে যন্ত্রণা কিংবা মাথায় আঘাত এসবের কারণে ভুগছেন তারাও কিন্তু এর সম্মুখীন হতে পারেন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই বেশ স্বাভাবিক। চিকিৎসকরা কী বলছেন এই প্রসঙ্গে?
তারা জানাচ্ছেন, দুটির মধ্যে লিংক কতটা কার্যকরী সেই বিষয়টি এখনও অজানা তবে যতটুকু জানা যাচ্ছে cochlear cell অথবা hair cell কিংবা Schwann cell - এর শোষণ তন্ত্র থেকেই এই ভাইরাস কানের ভেতর এমন কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে একথাও জানা গিয়েছে ভাইরাসটির ক্ষমতা রয়েছে শরীরে প্রদাহ ঘটিয়ে ভাসকুলার সিস্টেমকে ধ্বংস করার। এবং সেই থেকেও জিনোম মেকানিজম সিকোয়েন্স কানের মধ্যভাগে এবং অন্তঃস্থলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সকলের এই সমস্যা হবে এমন কোনও কথা নেই, তবে বুঝতে পারলে অবশ্যই প্রথমে করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসক এবং তারপর নাক কন গলার চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন