কথায় বলে, মা হওয়া নাকি সহজ কথা নয়। একেবারেই তাই। দিনের পর দিন কষ্ট এবং নানান শারীরিক সমস্যা উপেক্ষা করে প্রথম মা হওয়ার অনুভূতি বেশ আলাদা। এক একজনের একেকরকম সমস্যা এবং তার সঙ্গে পারিপার্শ্বিক কত কিছুই লেগে রয়েছে। শিশু জন্মের পর থেকেই হরমোনাল এবং তার মানসিক সমস্যার সূত্রপাত হয়। অনেক সময় মেজাজও ধরে রাখতে পারেন না অনেকেই।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মায়েদের খাবার ইচ্ছে একেবারেই চলে যায় আবার অনেকেই সময় দিতে পারেন না সন্তানের নজর রাখতে গিয়ে। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে কিন্তু নারী শরীরের উন্নতি অবশ্যই দরকার। বেশ পুরনো দিনের মানুষরা বলে থাকেন শরীরে গ্লানি থাকে এইসময় তাই সঠিক খাবার খুব দরকার। এমনকি শিশুর খাতিরে নিজের যত্ন নেওয়া খুব দরকার। তাই খাবারের বিষয়ে ভীষণ মন দিন।
• একেবারেই বাড়ির তৈরি খাবার খান। এমনকি সদ্য নির্মিত খাবারই উপযুক্ত, যেন বাসি খেতে যাবেন না। তেল মশলা একটু কম হলেই ভাল।
• কাচা নুনের পরিবর্তে বিট নুন খাওয়া অভ্যাস করুন। এক মাস পর থেকে প্রতিদিন খাবারের পর একটি করে পেয়ারা কিংবা আপেল অবশ্যই খান।
• কিছুদিন পর থেকে টকদই গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন।
• বিভিন্ন ধরনের বাদাম খান। আখরোট, কাজু, খেজুর, আলমন্ড জলে ভিজিয়ে খাওয়া শুরু করুন। প্রতিদিন সকালে অবশ্যই খান এগুলি।
• খিদে দিনদিন কমতে পারে তাই সুপ যেমন চিকেন স্টু, সবজির স্টু অবশ্যই খান। সারাদিনে ভাতে একবার অন্তত ঘি কিংবা বাটার মিল্ক অবশ্যই খান। ডিম খেলেও শুধু সাদা অংশ খাবেন।
• মেথি এবং জিরে গুঁড়ো দেওয়া খাবার খেতে শুরু করুন।
• ওটস জাতীয় খাবার খেতে হবে। যদি সেরেল পছন্দ হয় তবে তাই-ই। সঙ্গে অল্প স্ট্রবেরি কিংবা ব্লুবেরি খেতে পারেন।
• স্পিনাচ কিংবা পালং শাক সপ্তাহে অন্তত দুইদিন খান। প্রচুর পরিমাণে জল খান।
• ব্রাউন রাইস কিন্তু এইসময় খুব ভাল। খিদে মেটায় এবং বেশ উপকার করে।
নিজের দিকেও নজর দিন তবেই আপনার শিশুও সুস্থ থাকবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন