ঘাম মানবদেহের অন্যান্য বিষয়গুলির মত খুব সাধারণ-স্বাভাবিক একটি বিষয়। ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন এমনকি অপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে। ঘাম শরীরের পক্ষে যেমন ভাল তেমনই এই ঘাম মানুষের আত্মবিশ্বাস কমায়। যারা একটু বেশিই ঘামেন তাদের কিন্তু জামা কাপড় পরে শান্তি নেই। গরমে একটু বেরলেই সঙ্গে সঙ্গে পরনের পোশাক ভিজে গিয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা! এমন অবস্থায় কী করবেন?
Advertisment
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ঘাম অত্যধিক মাত্রায় হয় কেন?
যদি না মানুষের শরীরে কোনও রোগ থাকে, তবে বুঝে নিতে হবে স্নায়ুগ্রন্থির প্রভাবে ঘর্মগ্রন্থি অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় থাকে সেই থেকে এর সূত্রপাত হতে পারে। এবং দ্বিতীয়, থাইরয়েড হোক কিংবা ডায়াবেটিস অথবা মেনোপোজ কিংবা উদ্বেগ থেকেও ঘামের উপদ্রব দেখা যায়। শরীরের পিত্ত দশাকে যদি সঠিকভাবে আয়ত্বে রাখা যায় তবে এর থেকে শারীরিক সমস্যা যেমন গরম ভাব, অতিরিক্ত প্রদাহ এগুলি কমে যায়।
ঘরোয়া টোটকা যেগুলি কাজে আসবে?
মেথি জল এক কার্যকরী উপাদান। সারারাত এক চামচ মেথি জলে ভিজিয়ে রেখে দিন, পরের দিন সেটিকে খালি পেটে পান করুন, অনেকটা সমস্যা মিটবে।
ভেটিভার ঘাসের মূল দুই লিটার জলে ২০ মিনিট ধরে ফোটাতে হবে, ছেঁকে নিয়ে পান করুন, তাহলেই অনেকটা সমস্যা মিটবে।
গায়ে ঘামের ভাব কমাতে কী করবেন?
অবশ্যই আয়ুর্বেদের তরফে বডি পেস্ট লাগানো বেশ ভাল প্রমাণিত হতে পারে। সারিভা, চন্দন, আমলকী পাউডার এবং গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন, এটি গায়ে লাগিয়ে রাখুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে নিন।
যেখানে ঘাম বেশি হয় সেখানে চন্দন বেটে প্রায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে সমস্যা অনেকটা কমবে।
ডায়েটে কী ধরনের পরিবর্তন আনবেন?
ঝাল এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়া একদম বন্ধ করে দিন।
খাবার বেশি গরম করবেন না। ঘরের তাপমাত্রা যুক্ত খাবারই খান।