Advertisment

জাগ্রত হনুমান মন্দির, যেখানে গিয়ে প্রার্থনা করলে পূরণ হয় মনস্কামনা

সিপাহি বিদ্রোহের কয়েক বছর পরই গড়ে উঠেছিল এই মন্দির।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Dumdum Hanuman Temple

তিনি মঙ্গলের দেবতা। একইসঙ্গে অমঙ্গলের হরণকারী। তাই ভগবান হনুমানের আরাধনা কলিযুগে অত্যন্ত ফলপ্রদ। শুধু তাই নয়, তিনি গ্রহের যাবতীয় দোষও প্রশমনকারী। বিপদ থেকে রক্ষার কর্তা। সেই কারণেও ভগবান হনুমানের পূজা তথা আরাধনা করে থাকেন ভক্তগণ। বঙ্গসমাজ অতীতে ভগবান মহাবীর তথা হনুমানজির এই সব গুণাবলির ব্যাপারে ততটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু, বর্তমানে অবাঙালি সম্প্রদায়ের উন্নতি এবং অবাঙালি সম্প্রদায়ের হনুমানভক্তি দেখে বাঙালি সমাজও অনেকটাই হনুমান আরাধনা শিখেছে। ফলে একদিকে হনুমানভক্তি বেড়েছে। সঙ্গে, কীভাবে ভগবান মহাবীরের আরাধনা করে জীবনে উন্নতি করা যায়, তা-ও শিখে নিয়েছে বাঙালি সমাজ।

Advertisment

আর, এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে হনুমান মন্দিরের সংখ্যা। একইসঙ্গে জনবিন্যাসেরও পরিবর্তন ঘটছে। ফলে রাজ্যে বাড়ছে অবাঙালি নাগরিক। যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হনুমান আরাধনা। তবে, এরাজ্যেই কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় হনুমান আরাধনা হয়ে আসছে। আর, সেটা ১০-২০ বছর ধরে নয়। দেড়শো বছরের পুরোনো হনুমান মন্দির রয়েছে এই রাজ্যেই। আবার কলকাতা থেকেও তা খুব বেশি দূরে নয়। এই মন্দিরে প্রতি মঙ্গলবার এবং শনিবার ভিড় উপচে পড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, মন্দিরটি অত্যন্ত জাগ্রত। এখানে হনুমানজির কাছে যা প্রার্থনা করা হয়, সেই ফলই পাওয়া যায়। এই মন্দির রয়েছে দমদমে।

আরও পড়ুন- সিদ্ধপীঠ কলেশ্বর ধাম, যেখানে ভক্তের যাবতীয় সমস্যা দূর করেন ভোলানাথ

দূর-দূরান্ত থেকে এই মন্দিরে ভক্তরা আসেন। তাঁদের অনেকেই ছোট থেকে বাড়ির বয়স্ক কারও থেকে এখানে আসছেন। এই মন্দির রয়েছে দমদম রোডে। এখানে যেতে গেলে নামতে হবে দমদম রেল স্টেশন অথবা দমদম মেট্রো স্টেশনে। তারপর ৩০বি, ৩০বি/১, এসি ৩৮, এস১০, এস৩৪সি, এস৫৮এ, এস৫৮ বাসে। মন্দিরটি ভোর ৫টায় খোলে। আরতি হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। দুপুরে ১২টার সময় বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলে এই মন্দির খোলে দুপুর সাড়ে ৩টেয়। আরতি হয় রাত ৯টায়। মন্দির রাতে বন্ধ হয় ১০টায়।

Temple Lord Hanuman Hanuman Temple
Advertisment