এমন খুব কমই মানুষ আছেন যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন না। বাচ্চাদের আল্টিমেট ফেভারিট থেকে শরীরের প্রোটিন ফ্যাক্ট এবং নানা ধরনের রেসিপি। ডিমের ব্যাপারে কিন্তু সকলেই বেশ দুর্বল। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাত্রে ডিমের ডালনা এবং পোচ এমন একটা রেসিপি বলুন তো যেটি আপনার পছন্দ নয়?
Advertisment
একথা একেবারেই সত্য যে ডিমের প্রয়োজনীয় অংশ শরীরে যাওয়া খুব দরকারী। এবং একেক জন একেকরকম ভাবে ডিম খেতে পছন্দ করেন। আবার এটিও মনে রাখতে হবে ঠিক কি পরিমান প্রোটিন একদিন আপনার শরীর গ্রহণ করতে পারে। তবে প্রতিদিনের ডায়েটে দিন কিন্তু বেজায় দরকার। আর এই রেসিপিটি আপনাকে ট্রাই করতেই হবে।
পুষ্টিবিদ, নামামি আগরওয়াল নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই রেসিপি শেয়ার করে বলেন, ' সানি সাইড আপ ' - এই রেসিপি কিন্তু খেতে যেমন মজার তেমনই ভীষণ পুষ্টিযুক্ত। মজার বিষয় হল, সবথেকে বেশি নিউট্রিশন ডিমের কুসুমে থাকে। আর ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কুসুম একত্রে খাওয়ার অর্থ হল, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তথা ফ্যাট এবং ক্যালরি একসঙ্গে শরীরে যাওয়া।
কীভাবে বানাবেন এই রেসিপি টি? কড়াইতে হালকা অলিভ অয়েল কিংবা একদম অল্প সর্ষের তেল গরম করে। ডিম না ফেটিয়ে সোজাসুজি ছেড়ে দিন। অল্প গোলমরিচ এবং নুন ছড়িয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে দেবেন একটি পাত্র দিয়ে। মনে রাখবেন ঘড়ি ধরে ৩ মিনিট একপাশে ফ্রাই করবেন। অপরদিকে নয়। ব্যাস তৈরি হতে আর কত দেরি!
খাবারের মধ্যে ব্যালেন্স বজায় রাখতে অল্প চেরি টমেটো, অভোক্যাডু পেস্ট কিংবা সেদ্ধ করা ব্রকলি নিতে পারেন। সঙ্গে ভারী খাবার হিসেবে তাতে পাউরুটি এবং পিনাট বাটার খেতে পারেন। এমনকি রাগী পরোটা দিয়েও এটি দারুন ভাবে। হেলথ অ্যান্ড হ্যাপিনেস দুটোই বজায় থাকল।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী ডিম সুস্বাস্থের সঙ্গে সঙ্গে মন ভাল রাখতে বেশ কার্যকরী। পেট ও ভরবে খিদেও মিটবে। আর তাছাড়াও ডিমে সব ধরনের পুষ্টি এবং ভিটামিন যেমন এ৫, ভিটামিন বি১২, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এগুলি বজায় থাকে। যেগুলি শরীরের পক্ষে বেশ কার্যকরী। শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশ দারুন। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম কিন্তু রাখতেই হবে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন