রাজ্যে এখনও সেভাবে রাজনৈতিক কার্যলাপ শুরু করেনি এআইএমআইএম। তবে এরইমধ্যে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে এই দল। পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জমিরুল হাসান জানিয়ে দিলেন, "নতুন বছরে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে কলকাতায় আসছেন দলের সভাপতি সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি"। তিনি আরও বলেন, "তখন উদ্বোধন হবে দলের রাজ্য দফতরের। শুধু তাই না ব্রিগেড সমাবেশ হওয়ারও কথা রয়েছে।"
আরও পডুন: মমতার কপালে চিন্তার ভাঁজ, বাংলায় আসছে নতুন রাজনৈতিক দল।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা এআইএমআইএম ২০২০-এর জানুয়ারি থেকে পুরোদমে এ রাজ্যে রাজনৈতিক কার্মসূচি শুরু করতে চলেছে। যদিও ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মিছিল-মিটিং করেছে এমআইএম। তেলেঙ্গানা ভিত্তিক এই দলের এ রাজ্যে আগমন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছেন হায়দরাবাদ থেকে টাকার থলি নিয়ে হাজির হয়েছে একটি দল। টুইটে পাল্টা আক্রমণ হেনেছেন এআইএমআইএম প্রধান ওয়াইসিও। তবে এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে তাঁরা আদৌ ভয় পাচ্ছেন না বলেও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জমিরুল ইসলাম।
পশ্চিমবঙ্গে এমআইএমের দায়িত্বপ্রাপ্ত জমিরুল হাসান জানালেন, তাঁরা ব্রিগেড সমাবেশ করবেন আগামী জানুয়ারিতে। ছবি- শশী ঘোষ
পশ্চিমবঙ্গে এআইএমআইএম-এর পর্যবেক্ষক পদে রয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিম ওয়াকার। তাঁর নির্দেশে এখন এই রাজ্যে সংগঠন তৈরির কাজ চলছে। জমিরুল জানান, তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। তবে সিঙ্গুর আন্দোলন মেনে নিতে পারেননি। এখন একমাত্র এআইএমআইএম-ই পারে রাজ্যবাসীর দাবি মেটাতে। এই উদ্দেশ্যে তাঁদের সংগঠন বিস্তারলাভ করছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
আরও পড়ুন: মমতাকে ফের বার্তা মুসলিম সংগঠনের নেতার
জানা যাচ্ছে, সংগঠনের যাত্রা শুরু হবে ব্রিগেডে ধামাকা সমাবেশের মাধ্যমে। জমিরুল হাসান বলেন, "২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে সমাবেশ করবে এআইএমআইএম। সভাপতি আসাউদ্দিন ওয়াইসির ওই সময় এ রাজ্যে আসার কথা রয়েছে।" তাঁরা আশা করছেন, ব্রিগেড সামবেশে তিল ধারণের জায়গা থাকবে না। লক্ষাধিক আদিবাসী মানুষও আসবেন ওই সমাবেশে। তাছাড়া ব্লক ভিত্তিক সংগঠনের কাজও চলছে। ওই সফরে এসে রাজ্য দফতরের উদ্বোধনও করবেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর বক্তব্য, "শুধু বিধানসভা নয়, পৌর নির্বাচনেও তাঁরা প্রার্থী দেবেন।"