নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সরকারি মঞ্চে কেন বিজেপি দলীয় স্লোগান 'জয় শ্রী রাম' বলা হবে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মোদীর মঞ্চে বক্তব্য পেশ করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, মমতার এই প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে পদ্মশিবির। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ এই ঘটনা অনভিপ্রেত হলেও, 'ইচ্ছাকৃত' এবং 'পরিকল্পিত'।
সম্প্রতি যে তথ্য জানা গিয়েছে তা নিয়ে ফের বিতর্কের আগুনে ঘি পড়তে পারে। নেতাজির জন্মজয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের। ভিক্টোরিয়াতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল আগেই। সূত্রের খবর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরি থেকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো সবটাই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার কথা। কিন্তু কার্ড বিলি হল বিজেপির সদর দফতর থেকে।
আরও পড়ুন, নন্দীগ্রাম এবং ভবানীপুর, দুই কেন্দ্র থেকেই লড়াই করবেন মমতা?
আর ঠিক এখানেই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল। জানা গিয়েছে এই অনুষ্ঠানে মোট ৬০০ জন আমন্ত্রিতদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু ১৫০ জন বুদ্ধিজীবী-শিল্প সংস্কৃত মহলদের বাদে বাকি ৪৫০ কার্ড বিলি হল মুরলী ধর লেন স্ট্রিট থেকে। বিজেপি কর্মী তথা গেরুয়া ঘনিষ্টরাই আমন্ত্রণ পান। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে যে, এই কার্ড বিলির দায়িত্বে ছিল বিজেপির যুব মোর্চা দল। মমতার ভাষণের আগে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান আমন্ত্রিতদের মধ্যে থেকে পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছিল এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ‘অসুর’ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন মমতা, জিনেও সমস্যা আছে, ‘কদর্য’ আক্রমণ বিজেপি নেতার
তৃণমূলের তরফে যদি আগেই জানান হয়েছিল যে বিজেপি এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি করেই রেখেছিল। নেতাজির জন্মদিনের শুরু থেকেই কেন্দ্রের 'পরাক্রম দিবস' না রাজ্যের 'দেশনায়ক দিবস' সেই নামযুদ্ধ ছিলই। কিন্তু সরকারি অনুষ্ঠানের দায়িত্ব 'বেসরকারিভাবে' কেন রাজ্য বিজেপির হাতে গেল, সেই প্রশ্নই এখন নির্বাচনের আগে বড় বিতর্ক তৈরি করছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন