সোনিয়া গান্ধীর নিশানায় ফেসবুক-সহ একাধিক সোশ্যাল সাইট। বুধবার সংসদে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস নেত্রী। নির্বাচনী বিজ্ঞাপন দিতে বিজেপির সঙ্গে ফেসবুকের সস্তার চুক্তি হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী।
সোনিয়া গান্ধীর অভিযোগ, ভারতীয় রাজনীতিতে ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের তথাকথিত "সিস্টেম্যাটিক হস্তক্ষেপ" রয়েছে। এই প্রবণতা বন্ধ করতে কেন্দ্রকেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এদিন আল জাজিরা এবং দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, ফেসবুক অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের জন্য বিজেপিকেই সস্তা চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল।
এর আগেও ফেসবুককে ব্যবহার করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টার অভিযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল। রাহুল গান্ধীও বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ভারতীয় রাজনীতিতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিন আরও একবার সেই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন সোনিয়া গান্ধী। এবার অবশ্য তাঁর অভিযোগের সমর্থনে একটি রিপোর্টও পেশ করেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী।
আরও পড়ুন- পর্দায় আম আদমি থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, বাস্তবেও তাই হল ‘আম আদমি’ ভগবন্ত মানের
এদিকে, বুধবার সকাল ১১টায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছিলেন, ৯ মার্চ একটি ভারতীয় নিরস্ত্র সুপার-সনিক ক্ষেপণাস্ত্র "অবৈজ্ঞানিকভাবে" উৎক্ষেপণের ঘটনাকে সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। পাকিস্তানে গিয়ে নামে ওই ক্ষেপনাস্ত্রটি।
এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্শামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজ্যসভায় বিবৃতি দিয়ে সিং বলেছেন, "নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিদর্শনের সময় একটি ক্ষেপণাস্ত্র সন্ধে ৭ টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে জানা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানের ভূখণ্ডের বিতরে গিয়ে পড়েছে। যদিও এই ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা স্বস্তি পেয়েছি যে দুর্ঘটনার কারণে কেউ আহত হননি।''
Read story in English