রাহুল গান্ধী দলের স্বীকৃত নেতা। দলে তাঁর বিশেষ স্থান আছে। এআইসিসির সভাপতি যেই হোন না-কেন, রাহুল গান্ধীর সেই আসন অটুট থাকবে। এমনটাই ধারণা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের। রাহুল এখনও পর্যন্ত দলের সভাপতির আসন গ্রহণ করতে নারাজ। তবে, তাঁর মন বদলাতে পারে। এমনটাই আশা করছেন চিদাম্বরম।
এর আগে এআইসিসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দল সভাপতি নির্বাচনের রাস্তায় হাঁটবে। সেই নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না-বলে জানিয়েছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা। নির্বাচনের সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে চিদাম্বরমের মন্তব্য জল্পনা উসকে দিল।
এক সাক্ষাত্কারে চিদাম্বরম জানান, দলের সভাপতি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। যদিও এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি। দলের কিছু নেতাই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দেবেন না-বলে মধুসূদন মিস্ত্রি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এই ব্যাপারে চিদাম্বরম জানান, উদ্বিগ্ন মিস্ত্রির শেষ বিবৃতিই কেবল সামনে এসেছে। তিনি যে আশঙ্কা করছেন, সেটা মিটে যাবে। নির্বাচন হলেও কোনও দলই সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে না-বলেই জানিয়েছেন চিদাম্বরম। একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রদেশগুলোর সদস্যদের তালিকা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে পাওয়া যাবে। আর, সর্বভারতীয় ভোটার তালিকা এআইসিসির দফতরে মিলবে।
চিদাম্বরম বলেন, 'প্রত্যেক মনোনীত প্রার্থী ভোটার তালিকার প্রতিলিপি পাবেন। মধুসূদন মিস্ত্রি নিজে একথা জানিয়েছেন। সাংসদরাও জানিয়েছেন তাঁরা এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। বিষয়টি নিয়ে তাই আর কোনও প্রশ্ন নেই।' এর আগে সাংসদ শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, কার্তি চিদাম্বরম, প্রদ্যুত বরদোলই এবং আবদুল খালেক চিঠি দিয়েছিলেন মধুসূদন মিস্ত্রিকে।
চিঠিতে তাঁরা ভোটার তালিকার বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছিলেন। কারণ, কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটি জানিয়েছে, যে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। যাঁরা মনোনয়ন জমা দেবেন, তাঁরা ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এআইসিসির দফতরে বসেই প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিদের তালিকা দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন- ‘চারটে বোমা মেরে এলেই সব ফাঁকা হয়ে যাবে’, নাম না করে শুভেন্দুকে বেনজির হুমকি মদনের
চিদাম্বরম প্রশ্ন করেন, 'বিজেপি বা অন্য কোনও দল যখন তাদের দলীয় নির্বাচন করে, গণমাধ্যম তখন কি এই জাতীয় প্রশ্ন করে? আমি মনে করতে পারছি না জেপি নাড্ডা কখনও ভোটার তালিকা চেয়েছিলেন অথবা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন!' সভাপতি নির্বাচনে কি ঐক্যমত হবে? এই প্রশ্নেও চিদাম্বরম বিজেপির দৃষ্টান্ত টানেন।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনই সেরা পদ্ধতি। সব দলই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যায়। আমার মনে হয় নাড্ডা, শাহ, রাজনাথ সিং আর গড়কড়িরাও সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছিলেন।' রাহুল গান্ধীও কি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন?
জবাবে চিদাম্বরম জানান, 'রাহুল গান্ধী দলের স্বীকৃত নেতা। দলের নেতা-কর্মীরাও তাঁকে পছন্দ করেন। তিনি এখনও পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁর মন পরিবর্তন হতেই পারে।'
Read full story in English