আর্জেন্তিনা ০
ক্রোয়েশিয়া ৩ ( রেবিচ ৫৩', মদরিচ ৮০', রাকিটিচ ৯০+')
'ডোন্ট ক্রাই ফর মি আর্জেন্তিনা'। কখনও জুলি কোভিংটন তো কখনও ম্যাডোনা গেয়েছেন এই গান। গেয়েছেন লিওনেল মেসিও। কখনও কোপা আমেরিকা তো কখনও বিশ্বকাপ ফাইনাল। আবারও কি মেসি আর্জেন্তিনাকে চোখের জল ফেলতে বারণ করবেন? এটাই কি ভবিতব্য হতে চলেছে মারাদোনার ব্যাটন বহনকারী সেনাপতির?
আইসল্যান্ডের বরফ জমাট রক্ষণে ধাক্কা খেয়ে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করা আর্জেন্তিনা যে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে তিন গোলে হারবে তা কল্পনাতেও আসেনি। এই ম্যাচের পর মেসিদের ঘুরে দাঁড়ানোটা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেল। দলের শিরদাঁড়া গুঁড়িয়ে দিল ক্রোয়েশিয়া।
এই আর্জেন্তিনা আক্ষরিক অর্থেই কাগুজে বাঘ। মেসিদের অতি বড় ভক্তকে যদি ডেকে জানতে চাওয়া হয়, এই দলের কোন বিভাগ সক্রিয়, তাহলে তিনিও মেসির মতোই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট টিম এককথায় সুপার ফ্লপ। দলে বড় নামের ছড়াছড়ি। মেসিকে বাদ দিলেও হিগুয়েন, আগুয়েরো, দিবালা, সিলভা। কে নেই সেখানে? কিন্তু তাঁরা নামেই আছেন, খেলায় নেই।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার তিনটে মোটে নাম। লুকা মদরিচ, ইভান রাকিটিচ, মারিও মান্দজুকিচ। এঁরা মিলেই আর্জেন্টাইন স্টারডম, আভিজাত্য নিমেষে মাটিতে মিশিয়ে দিলেন।
বিশ্বকাপ খেলতে নেমে উইলি কাবালেরো কী করলেন ওটা! মার্সেডোর সঙ্গে ব্যাক পাসের দেওয়া-নেওয়ার সমীকরণে নিয়ে নিলেন রেবিচকে। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে সিংহের মুখে খাবার দিয়ে দিলেন। যথার্থই আত্মঘাতী পদক্ষেপ। এরপর মদরিচ আর রাকিটিচের গোল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে দলটায় রক্ষণ শব্দটা নেহাতই বেমানান। মাঝমাঠ বলে কিছু থাকলে মেসি অন্তত পাস পেতেন। এছাড়াও গোলের সামনে মেসিদের কয়েকটা মিস ক্ষমার অযোগ্য। এদিনের স্কোরলাইন এটা বলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট, যে ক্রোয়েশিয়ার আধিপত্য ছিল না, ছিল একাধিপত্য! এই দলটা আরও চমকে দিলে অবাক শব্দটা বোধহয় ব্যবহৃত হবে না এই টুর্নামেন্টে। মেসিদের জন্য এখন শুধুই প্রার্থনা।