আইপিএলের সময় শিরোনামেই রয়েছেন হরভজন সিং। সিএসকে থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই হৈচৈ লাগিয়ে দিয়েছিলেন তারকা স্পিনার। এবার অবশ্য তিনি অন্য কারণে শিরোনামে উঠে এসেছেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪ কোটি টাকা প্রতারিত হয়েছেন তিনি। সেই কারণে চেন্নাই সিটি পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে ব্যবসায়ীকে ৪ কোটি টাকা দিয়েছিলেন ভাজ্জি, তিনি সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করে রেখেছেন। কারণ, হরভজন তাঁর নামেই অভিযোগ দায়ের করে রেখেছেন।
আরো পড়ুন: আইপিএল সুরক্ষিত নয়, তোপ দেগে টুর্নামেন্ট ছাড়লেন ভাজ্জি
ঘটনা কী? হরভজনের বয়ান অনুযায়ী, একজন কেমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে সেই জি মহেশ নামের সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে হরভজনের আলাপ ২০১৫ সালে। হরভজন তাঁকেই ৪ কোটি টাকা দেন। তারপর ভাজ্জি একাধিকবার সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও মহেশ পাওনা টাকা ফেরত দিতে দেরি করছিলেন।
গত মাসে মহেশ হরভজনকে ২৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেন। তবে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকায় সেই চেক বাউন্স করে। কিছুদিন আগেই চেন্নাই গিয়েছিলেন হরভজন। সেখানে গিয়েই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিলানকড়াইয়ের এসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার বিশ্বেসবারাইয়াকে। তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠানো হয়েছে ব্যবসায়ী মহেশকে। তারপরেই তিনি মাদ্রাজ হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদন যদিও এখনো মঞ্জুর হয়নি।
মহেশ নিজের বয়ানে দাবি করেছেন, থালাম্বরের এক সম্পত্তি জামিন রেখেই তিনি হরভজনের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা লোন নিয়েছিলেন। সেই লোনও তিনি মিটিয়ে দিয়েছেন।
কোভিডের কারণে ক্রিকেট বিশ্বেও এখন মন্দা। আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন অনেক ক্রিকেটারই। তা সত্ত্বেও আইপিএলের লোভনীয় চুক্তি বাতিল করে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হরভজন। এর ফলে দু কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে তাঁর। তারপরেই এমন প্রতারণার ঘটনা। ক্রিকেটারের আশা কঠিন এই সময়ে নিজের পাওনা টাকা ফেরত পাবেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন