বহুদিন নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না। আইপিএলেও পাওয়া যায়নি পুরনো ফর্মে। বিশ্বকাপের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে তো বেধরক ধোলাই হজম করেছেন ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে। বলা হচ্ছিল, বিশ্বকাপে একদমই নিয়ে আসা উচিত হয়নি। তবে লাসিথ মালিঙ্গা প্রমাণ করে দিলেন, ঠিকঠাক জায়গায় এখনও বল রেখে ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারেন। আর নিজেকে ফের একবার প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে মালিঙ্গা বেছে নিলেন এমন একটা দলকে, যাদের চলতি টুর্নামেন্টে কাপ জেতার বিষয়ে সবথেকে ফেভারিট। ইংল্যান্ডকে চলতি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হার হজম করতে হল কার্যত মালিঙ্গার বলে ভর করেই।
আর মালিঙ্গার লঙ্কাকাণ্ডের দিনেই প্রাক্তন সতীর্থ মাহেলা জয়বর্ধনে তাঁর খালি গায়ে পৃথুল ছবি পোস্ট করলেন। উদ্দেশ্য, মালিঙ্গা সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেওয়া। হাতে পুঁজি মাত্র ২৩২ রানের। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য যে এই রান পর্যাপ্ত তা কে জানত! বিশ্বাস রেখেছিলেন মালিঙ্গা। শুরু থেকেই ইংল্যান্ডকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে দেন মালিঙ্গা। জো রুট, জেমস ভিন্স, বেয়ারস্টো এবং বাটলার- ইংরেজ ব্যাটিং লাইন আপের চার মহাতারকাকে একাই শিকার করেন তিনি। নিজের ১০ ওভারের কোটায় মাত্র ৪৩ রান খরচ করেই চার উইকেট দখল করেন তিনি। আর মালিঙ্গার আগুনে বোলিং সামলাতে না পেরে ইংল্যান্ড থেমে যায় ২১২ রানে।
কোহলিদের পাক-বধের দিনেই গ্যালারিতে ‘প্রেমের কাহিনী’, রইল মিষ্টি ভিডিও
মালিঙ্গার এই ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সের পরেই প্রাক্তন সতীর্থ জয়বর্ধনের কাছ থেকে ভেসে আসে একটা টুইট। যেখানে মালিঙ্গার খালি গায়ের বেঢপ চিত্র পোস্ট করেন। সেই পোস্টের ক্যাপশন, ওয়েল বোল্ড মালি। গত সপ্তাহে তোমার বহু আলোচিত ছবি তোমার সমর্থকদের কাছে পোস্ট করার চিন্তা মাথায় এল।
আসলে মালিঙ্গা বল হাতে ফর্মে ছিলেন না। সেই সময়েই মালিঙ্গার খোলা গায়ের বিকট চিত্র ছবি পোস্ট করে ট্রোল করা চলছিল। বলা হচ্ছিল, এত মেদবহুল চেহারা নিয়ে তিনি কী করে জাতীয় দলে সুযোগ পান! তবে জয়বর্ধনে সেই ট্রোলিংয়ের পালটা হিসেবে সেই ছবি-ই পোস্ট করে সম্ভবত বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, কোনও বইয়ের মাপকাঠি তাঁর কভার ছবি হতে পারে না!