দুর্ধর্ষ ফিল্ডার, কার্যকরী ব্যাটসম্যান এবং বোলার। রবীন্দ্র জাদেজার আরও একটা পরিচয়, দিলখোলা স্বভাবের। সতীর্থ ক্রিকেটাররা বলে থাকেন, কুল-কুল মেজাজের জাদেজা ড্রেসিংরুম মাতিয়ে রাখতে ওস্তাদ। গুরু ধোনির সাহচর্যেই হোক বা অন্য কিছু, জাদেজাও কিন্তু চাপের মুহূর্তে দারুণভাবে নিজেকে শান্ত রাখেন। তবে এবারেই জাদেজাকে পাওয়া যাচ্ছে না নিজের স্বভাবজাত মেজাজে। সেমিফাইনালে হারের পরে কার্যত মুষড়ে পড়েছেন 'স্যার'। কোনওভাবেই শান্ত রাখা সম্ভব হচ্ছে না তারকা অলরাউন্ডারকে। এমনটাই জানিয়েছেন স্ত্রী রিভাবা জাদেজা।
বিরাট কোহলির সংসারে কুল-চা জুটির আবির্ভাবের পরে একদিনের ক্রিকেটে কার্যত ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছিলেন। শুরুতে চাহাল ও কুলদীপের জন্য সুযোগই মিলছিল না। তবে সেমিফাইনালে সুযোগ পেয়েই জাদেজা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপে শুরু থেকে তাকে না খেলিয়ে ভুলই করেছে ভারত।
আরও পড়ুন আউট হয়ে কেঁদে ভাসালেন ধোনি! হৃদয় ভাঙল একশো কোটির, রইল ভিডিও
জাদেজার স্ত্রী রিভাবা বলছিলেন, "কোনওভাবেই জাদেজাকে স্বান্ত্বনা দেওয়া যাচ্ছে না। বারেবারে একই কথা আউড়ে যাচ্ছে, যদি আমি আউট না হতাম, তাহলে আমরা জিতে জেতাম। যদি আপনি এতটা কাছে এসে একটা ম্যাচ হারেন, তাহলে এটা সত্যিই হৃদয় বিদারক। ধাতস্থ হতে জাদেজার আরও কিছু সময় প্রয়োজন।"
জাদেজার স্ত্রী আরও জানালেন, "দলের যখনই প্রয়োজন হয়েছে, জাদেজা তখনই পারফর্ম করেছে। উইকেট নিয়ে হোক বা ব্যাট হাতে স্কোরবোর্ডে রান তুলেছে। ২০১৩ সালে যখন ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে, তখন জাদেজাই অলরাউন্ড দক্ষতায় ম্যাচের সেরা হয়েছিল।"
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু-দিন চলা সেমিফাইনালে কার্যত একক দক্ষতায় ভারতকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারকা। পরপর উইকেট হারানোর পরে জাদেজা ধোনির সঙ্গে সপ্তম উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ১১৬ রান যোগ করেছিলেন। তবে শেষদিকে রান তোলার গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। জাদেজার ৫৯ বলে ৭৭ রান ট্র্যাজিক ইনিংস হিসেবেই রয়ে যাবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে।