IND vs BAN, Virat Kohli dismissal: ঋষভ পন্থ ৬৩২ দিন পর ভারতের জার্সিতে টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। অন্যদিকে, কোহলি দেশের হয়ে দেশের মাটিতে পাঁচদিনের ক্রিকেটে খেলতে নেমেছিলেন ৫৫২ দিন পর। তবে টেস্টে কোহলির হোমকামিং মোটেই সুখের হল না। টিকলেন মাত্র মাত্র ৬ বল।
শুরুর সেশনে নতুন বলে যে সুইংয়ের মায়াজাল ছড়িয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। তাতেই ভারতের একের পর এক ইন্দ্রপতন। প্ৰথমে রোহিত, তারপর গিল এবং কোহলি। গিল আউট হতেই হাততালির বন্যা বইয়ে দিয়েছিল চেন্নাইয়ের দর্শক। কিং কোহলি যে নামছেন 'থালা' ধোনির মাঠে। তবে দর্শকদের সেই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
আর কোহলিকে ফেরানোর নেপথ্যে পুরোটাই বাংলাদেশ নিখুঁত প্ল্যানিং। কীভাবে? কোহলি অন সাইডে সাবলীল ছিলেন মাত্র ছয় বলের ইনিংসেও। তা বুঝতে পেরেই কোহলিকে অফস্ট্যাম্পের সামান্য বাইরের লেন্থে বল ফেলেছিলেন হাসান মাহমুদ। এওয়ে মুভ করা বল শরীর থেকে দূরে ব্যাট নিয়ে গিয়ে ড্রাইভ করতে গিয়েই বিপত্তি। কোহলির ব্যাটের কানায় লাগা বল সরাসরি জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে।
বাংলাদেশের এই রণকৌশল ব্যাখ্যা করেছেন তামিম ইকবাল-ও। স্পোর্টস-১৮'এ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন ওপেনার বলে দিয়েছেন, "কোহলি দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমেছিল। সাধারণত বহুদিন পর খেলতে নামলে ব্যাটাররা ব্যাটে বল খেলতে চান। বলকে অনুভব করতে চান। কোহলি সেটাই চাইছিল। আর ও জায়গায় আউট হল, এমন লেন্থের বলে ও বহুবার আউট হয়েছে। ওঁর আউট বাংলাদেশের এনালিস্টকে জাদুকরের মত মনে হচ্ছিল।"
আরও পড়ুন: বিরাট আউট হতেই হাততালি চেন্নাইয়ের দর্শকদের! বিরাটকে 'অপমানের' আসল কারণের পর্দাফাঁস কিছুক্ষণ পরেই
পার্থিব প্যাটেল-ও তামিমের বিশ্লেষণে একমত হয়েছেন। প্রাক্তন কিপার-ব্যাটার বলেছেন, কোহলির প্রত্যেক বল ব্যাটে খেলার প্রবণতার সঙ্গে বাংলাদেশের দুর্ধর্ষ স্ট্র্যাটেজির মিশেলে আউট হতে হল তাঁকে বৃহস্পতিবার। "হয়ত দ্বিতীয় ইনিংসে ওঁকে আরও বেশি অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল লিভ করতে দেখা যাবে। বহুদিন পর অনুশীলনের মধ্যে না থাকায় এমনটা হতেই পারে। যদি এই বল-ই কোহলির ব্যাটের মাঝে লাগত, তাহলে হয়ত ওঁকে অন্য অবতারে দেখা যেতে পারত। এমন আউট গ্রেটেস্ট ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও হয়। ও ব্যতিক্রম নয়।"
কোহলি-রোহিত দলীপে না খেলায় সমালোচনার সুরে গাভাসকার মুখ খুলেছিলেন প্ৰথম টেস্টের আগে। বলে দিয়েছিলেন, "তিরিশের মাঝামাঝি ক্রিকেটাররা যদি দীর্ঘ ক্রিকেটের মধ্যে না থাকে, তাহলে মাসল মেমরি দুর্বল হতে বাধ্য। ওঁদের দুজনেরই দলীপে খেলা উচিত ছিল।" গাভাসকারের অনুমান যে অভ্রান্ত, তা প্রকাশ পেয়ে গেল প্ৰথম টেস্টের প্ৰথম ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই।