Ishan Kishan, BCCI: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলার পর ইউ-টার্ন অবস্থান নিলেন ক্রিকেট তারকা ইশান কিষান। তিনি জানিয়েছেন যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া। ইশান ঝাড়খণ্ডের ছেলে। নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলার পর জানিয়েছেন যে, ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলতে চান। ভারতের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে আসেন। নির্বাচকদের বারবার বলার পরও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ আর, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজও খেলেননি। রঞ্জি ট্রফিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে অধিনায়ক রোহিত শর্মার পীড়াপীড়ির পরও ইশান ঝাড়খণ্ডের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেননি। পরিবর্তে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মরশুমের জন্য বরোদায় গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেন।
যার জেরে, ইশানকে বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আইপিএলেও সেভাবে তিনি দাগ কাটতে পারেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৩২০ রান করেছিলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবার হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বে আইপিএল টেবিলের সবচেয়ে পিছনে দৌড় শেষ করেছে। আর, ইশানও তখন থেকেই জাতীয় দলে অনুপস্থিত। তবে, এই পরিস্থিতি শীঘ্রই পরিবর্তন হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২৬ বছর বয়সি এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে চলেছেন। বিসিসিআই নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনার পরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নির্বাচকরা ইশানকে ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলতে পরামর্শ দিয়েছেন। নির্বাচকরা জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে ইশান ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ না করলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার একের পর এক সুযোগ হারাবেন।
আরও পড়ুন- সুন্দরে বিরক্ত ক্যাপ্টেন রোহিত! বারবার থামায় প্রকাশ্যেই অসন্তোষ, দেখুন ভিডিও
ভারতীয় দলের নির্বাচকদের সঙ্গে ইশানের কথাবার্তার পর উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে ঝাড়খণ্ড দলের নেতা করার কথা ভাবা হচ্ছে। ভারতীয় দলে কিশানের শেষ উপস্থিতি ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে একদিনের বিশ্বকাপের সময়। বিভিন্ন মহলের অনুমান, উইকেটরক্ষক ব্যাটার কেএল রাহুলের জন্য তাঁকে উপেক্ষা করায় ইশানের মনে হতাশা তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই তিনি জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরে ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম-শ্রেণির লাল বলের টুর্নামেন্ট দলীপ ট্রফির মাধ্যমে ইশানের ঘরোয়া মরশুম শুরু হতে চলেছে। এই চার দলীয় টুর্নামেন্টে ইশানকে নির্বাচিত করার সম্ভাবনা কম। কারণ, তাঁকে আগে নিজের রাজ্যের দল ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলতে হবে। তারপর তিনি পূর্বাঞ্চলীয় দলে খেলার সুযোগ পাবেন।
ইশানের জাতীয় দলে ফেরা এখন তাঁর রাজ্যদলে প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। বর্তমান শ্রীলঙ্কা সফরে তাঁর অনুপস্থিতি সকলের নজর কাড়ছে। কারণ, ইশানের সঙ্গেই কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া শ্রেয়াস আইয়ারও মুম্বইয়ের হয়ে কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়ে জাতীয় দলে স্থান পেয়েছেন। নির্বাচকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে জাতীয় দলে ফের সুযোগ পেতে হলে ইশানকে ধারাবাহিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। তারপরই বাস্তবায়িত হতে পারে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার পুনরুদ্ধার করার স্বপ্ন।