/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/02/2f8YGr39Rp4WJPglKVvN.jpg)
Vidarbha-Ranji Trophy: রঞ্জি ট্রফিতে রবিবারই বিদর্ভ জয় ছিনিয়ে নিল। (ছবি- ফেসবুক)
Ranji Trophy 2025, Vidarbha: রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে রবিবার বিদর্ভের জয়ের পর মুখ খুললেন বিশেষজ্ঞরা। বিদর্ভ অধিনায়ক অক্ষয় ওয়াদেকর দলের তৃতীয় রঞ্জি ট্রফি জয়ের পর নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না। তিনি জানান, গত মরশুমে ফাইনালে পরাজয়ের পর থেকেই তাঁদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। ভারতের সেরা লাল বলের টুর্নামেন্টে তাঁরা সেই প্রস্তুতির কারণেই এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছেন। অক্ষয়ের কথায়, 'একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার স্বপ্ন ছিল রঞ্জি ট্রফি জেতা। প্রতিটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারের কাছে এটি একটি স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।' বিদর্ভের এবারের শিরোপাজয়ের মুহূর্ত যেন স্মরণীয় হয়ে থাকল। তেমনই স্মরণীয় থাকল কেরলের কাছেও। কারণ, সচিন বেবির নেতৃত্বাধীন দল প্রথমবারের মত এবারের রঞ্জি ফাইনালে উঠেছে, যা ইতিহাস। আর, ফাইনালে তারা হারেওনি। শক্তিশালী বিদর্ভের সঙ্গে ড্র করেছে।
বিদর্ভের জয় কীভাবে নিশ্চিত হল?
নাগপুরে আয়োজিত ফাইনালে, বিদর্ভ প্রথম ইনিংসে ৩৭৯ রান করেছে। ২১ বছর বয়সি দানিশ মালেওয়ার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। করুণ নায়ার গুরুত্বপূর্ণ ৮৬ রান করেছেন। কেরল প্রথম ইনিংসে ছিল ৩২৪/৬। কিন্তু, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সচিন বেবির ৯৮ রানে আউট হওয়া। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিদর্ভের হর্ষ দুবে (রঞ্জি ট্রফির এক মরশুমে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন) ৩ উইকেট নেন। পার্থ রেখাদেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। যার ফলে, তৃতীয় দিনের শেষেই ম্যাচ কার্যত বিদর্ভের হাতে চলে যায়। করুণ নায়ার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে বিদর্ভকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেন। যার ফলে, কেরল ফের ব্যাটিংয়ের সুযোগই পায়নি।
বিদর্ভ অধিনায়ক অক্ষয় ওয়াদেকর:
বিদর্ভের অধিনায়ক অক্ষয় ওয়াদেকর বলেন, 'গত বছর ফাইনালে হেরেছিলাম, তাই এবার আমাদের লক্ষ্য ছিল ভালো প্রস্তুতি। আমাদের চার ব্যাটসম্যান এই মশুমের সেরা ১০ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন। হর্ষ দুবে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। যশ রাঠোর ও দানিশ মালেওয়ার বহু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দানিশ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২১৫ রান করেছে।'
বিদর্ভের সেরা পারফর্মাররা:
- যশ রাঠোর – ১০ ম্যাচে ৯৬০ রান (সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক)
- করুণ নায়ার – ৯ ম্যাচে ৮৬৩ রান (৪টি সেঞ্চুরি)
- দানিশ মালেওয়ার – ৯ ম্যাচে ৭৮৩ রান
- অক্ষয় ওয়াদকর (অধিনায়ক) – ১০ ম্যাচে ৭২২ রান
- হর্ষ দুবে – ৬৯ উইকেট (রেকর্ড)
কেরল অধিনায়ক সচিন বেবি:
কেরল অধিনায়ক সচিন বেবী বলেন, 'ফাইনালটা দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি গর্বিত। বিদর্ভকে অভিনন্দন। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি, অনেকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। ফাইনালে যার কম ভুল হবে, তারই জয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল। অধিনায়ক হিসেবে আমি আমার আউট হওয়ার দায় নিচ্ছি— আমার শটেই ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে। আমাদের একশোর বেশি লিড দরকার ছিল, কিন্তু তা হয়নি।'
That winning feeling 🤗
— BCCI Domestic (@BCCIdomestic) March 2, 2025
Vidarbha Captain Akshay Wadkar receives the coveted Ranji Trophy 🏆 from BCCI President Mr. Roger Binny 👏 👏
What a brilliant performance right through the season 🔥#RanjiTrophy | @IDFCFIRSTBank | #Final
Scorecard ▶️ https://t.co/up5GVaflpppic.twitter.com/5zDGHzw8NJ
বিদর্ভের জয়ের চাবিকাঠি:
✅ প্রথম ইনিংসে দানিশ মালেওয়ার (১০৯) এবং করুণ নায়ারের (৮৬) বড় ইনিংস
✅ হর্ষ দুবে ও পার্থ রেখাদের বোলিং পারফরম্যান্স
✅ কেরলের সচিন বেবির ৯৮ রানে আউট হওয়া ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট
✅ করুণ নায়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি
✅ প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে কেরলকে ব্যাটিংয়ে ফেরার সুযোগ না দেওয়া
✅ বিদর্ভ এখন ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ঘরোয়া দল, যারা তিনটি রঞ্জি ট্রফি জিতে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, হায়দরাবাদকে টেক্কা দিল।
আরও পড়ুন- কেরলের আত্মসমর্পণে শিরোপা জয়, বিদর্ভ ৭ বছরে তৃতীয়বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন!
বিদর্ভের ভবিষ্যৎ তারকারা কী বললেন?
হর্ষ দুবে (৬৯ উইকেট, সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক): 'এটি আমার কাছে স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত। গত বছর ফাইনালে হেরেছিলাম, তাই এবার নিজের ফিটনেস এবং স্কিলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি নিজেকে একজন বোলিং অলরাউন্ডার বলব না, বরং একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার বলব। কারণ, আমি ব্যাটিং ভালোবাসি! শেষ লক্ষ্য অবশ্যই ভারতের হয়ে খেলা, আমি ধাপে ধাপে এগোতে চাই।'
যশ রাঠোর (৯৬০ রান): 'আমি ১০০০ রান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ৪০ রান কম করলাম! তবে আমি কৃতজ্ঞ। গুরুত্বপূর্ণ হল, লক্ষ্য নির্ধারণ করা, কোথায় বল সুইং করবে তা বিশ্লেষণ করা।'
দানিশ মালেওয়ার (ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়): 'এই মরশুমটা আমার দারুণ কাটল। আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং শিখেছি। করুণ নায়ারের মত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে ব্যাটিং করা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আগের ম্যাচগুলোতে ৫০-৬০ রানে আউট হয়েছি, সেজন্য আমি সেঞ্চুরি করার কথা ভাবছিলাম।'