বিধানসভা নির্বাচনের এখনও দুবছর দেরি। তার আগেই ত্রিপুরায় খেলা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। আই-প্যাক কর্মীদের হোটেলবন্দি করে রাখা এবং মামলা দায়েরের ঘটনায় যখন সরাসরি সংঘাতে তৃণমূল-বিজেপি, সেইসময়ই প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ সাত প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা।
প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, পান্না দেব, মহম্মদ ইদ্রিশ মিয়া, প্রেমতোষ দেবনাথ, বিকাশ দাস, তপন দত্তর মতো হেভিওয়েট নেতারা এদিন যোগ দেন তৃণমূলে। এদিন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কোভিড বিধিনিষেধের জন্য দলীয় কর্মকাণ্ড বাধা পাচ্ছে ত্রিপুরায়। তিনি একইসঙ্গে বিপ্লব দেব সরকারকে আই-প্যাক কর্মীদের হেনস্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন, আই-প্যাক কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়ে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে।
প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক বলেছেন, মানুষের স্বার্থে এবং সময়ের দাবি মেনেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই নিয়ে সাতবার দলবদল করলেন সুবল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত বিজেপির সহ-সভাপতি ছিলেন ত্রিপুরায়। তারপর তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়ে বিজেপির প্রতিমা ভৌমিকের কাছে হেরে যান সুবল।
আরও পড়ুন আই-প্যাকের ২৩ সদস্যের নিঃশর্তে জামিন ত্রিপুরার আদালতে, ‘খেলা শুরু’, বলছে তৃণমূল
তবে এবার নতুন পথ চলা শুরু করছেন সুবল। তিনি বলেছেন, "আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লড়াই করেছেন তা দেশজুড়ে মানুষ দেখেছে। তিনিই একমাত্র নেত্রী যিনি দেশকে উন্নয়নের সঠিক পথে নিয়ে যাবেন।" বিজেপি সরকারকে তুমুল কটাক্ষ করে তাঁর হুঁশিয়ারি, "ত্রিপুরাতে জঙ্গলরাজ চলছে গত চার বছর ধরে। এখানে মানুষের কোনও স্বাধীনতা নেই, বাকস্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। শাসকদল সবকিছু করতে পারে, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল করে দিয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে।" তাঁর দাবি, "২০২৩ নির্বাচনে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। বিজেপি একটাও আসন পাবে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন