চারদিকে যখন চাকরি ছাঁটাই চলছে, নিয়োগ বন্ধ এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিও আটকে, সেই সময়ে ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি সরকার স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ২৯৭ জন স্কুল শিক্ষক ও বিভিন্ন সরকারি কলেজে বিভিন্ন বিষয়ের সহ অধ্যাপক দ্রুত নিয়োগের কথা ঘোষণা করল।
রাজ্যের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, সরকার ১৭৫ জন স্নাতক ও ৬৫ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ত্রিপুরা মাধ্যমিক বোর্ড ইতিমধ্যেই রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের কাছে এই শিক্ষকদের যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে। এই শিক্ষকরা এলিমেন্টারি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকতায় নিযুক্ত হবেন।
এ ছাড়া ৪২ জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক ও ১৫ জন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষককে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকতায় নিযুক্ত করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। এর আগের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের তালিকা এ জন্য শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিভিন্ন বিষয়ের ৪০ জন সহ অধ্যাপক নিয়োগের কথা বলেছেন। এর মধ্যে ৪ জন বাংলার, ১০ জন ইংরেজির, পাঁচজন এডুকেশনের, ইতিহাসের পাঁচজন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সংস্কৃত ও মানবশরীরবিদ্যায় চারজন করে ও ভূগোল ও বোটানির দুজন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
কিছুদিন আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেছিলেন রাজ্যের অর্থনীতি লকডাউনের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যাঁরা কৃষি, রেশমপালন, হর্টিকালচারের মত ক্ষেত্রে নিযুক্ত রয়েছেন তাঁদের উৎপাদন বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিলেন যাতে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।
এদিকে প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার, ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত যাঁরা কোভিড-১৯-এর জন্য বাইরে থেকে রাজ্যে ফিরেছেন, তাঁদের চাকরির জন্য নতুন পোর্টাল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন। কর্মভূমি নামের এই পোর্টালের মাধ্যমে বাংলায় অবস্থিত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানিয়েছেন মমতা।