Russian Chaiwali: গভীর সংকটে সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন 'রাশিয়ান চাইওয়ালি'! জোর করে বন্ধ করতে বাধ্য করা হল তার স্বপ্নের চায়ের দোকান। কিন্তু কেন?
নৈতিকতার পাঠ শেখাতে গ্রামের কিছু মাতব্বর তার দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। এমনই অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পাপিয়ার অভিযোগ, লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার তিনি। সে কারণেই আন্দুলে তার চায়ের দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হন।
চাকরি ছেড়ে চার মাস আগে অঙ্কুরহাটিতে জাতীয় সড়কের পাশে একটি ছোট চায়ের দোকান শুরু করেন তিনি। এরপর থেকেই তুমুল ভাইরাল হয় তার চা। দোকানটি জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে, তিনি নানা ভাবে হয়রানির সম্মুখীন হন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তার স্বপ্নের দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন।
ঘোষাল সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, গ্রামে একটি ফতোয়া সহ একটি পোস্টার লাগানো হয়েছিল, যাতে তাকে দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, তিনি গ্রামের "পরিবেশ নষ্ট করছেন"। কারা দোকান বন্ধের হুমকি দিল এই প্রশ্নে রাশিয়ান দিদি জানান, "আমি জানি না ওরা কারা। কেউ নোটিস লাগিয়ে দোকান আর না খোলার নির্দেশ দেয়"।
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা তার কাছ থেকে কিছু টাকা দাবি করে সেই টাকা তা দেওয়াতেও তার দোকান বন্ধের এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের সদস্যদের দাবি তিনি নিজে দোকান চালাচ্ছেন না। পাশাপাশি তার আচরণ গ্রামের "আদর্শের পরিপন্থী" বলেও তারা দাবি করেছেন। ইতিমধ্যে এবিষয়ে ডোমজুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী।
এলাকার স্থানীয় বিধায়ক প্রিয়া পাল বলেন, "আমি কী ঘটেছে তা জানি না। আমি বিষয়টি তদন্ত করে মেয়েটিকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।" সবকিছুর পর রাশিয়ান দিদির প্রশ্ন "কেন আমি আমার চায়ের দোকান স্বাধীনভাবে চালাতে পারব না? কেন আমাকে অসম্মান করা হবে, এবং আমার চরিত্র কলঙ্কিত করা হবে" ?