/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/03/metro-today-759.jpg)
মেট্রোয় ফের আগুন-আতঙ্ক। প্রতীকী ছবি।
আগুন-আতঙ্কের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেট্রো চলাচল। এদিন সকালে দমদম স্টেশনে থার্ড লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। এ ঘটনার জেরে লাইনে মেরামতির কাজ করা হয়। যার জেরে নোয়াপাড়া থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত কিছুক্ষণ মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। গিরিশ পার্ক থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চললেও ব্যস্ত সময়ে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। দুপুরের পর স্বাভাবিক হয় মেট্রো পরিষেবা।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে জানানো হয়, সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ দমদম স্টেশনের কাছে থার্ড লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনটিকে থামানো হয়। সব যাত্রীকে নিরাপদে বের করা হয়। সকাল ৯টা ৪৯ মিনিট নাগাদ দমদম থেকে আপ ও ডাউন লাইনে ফের মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হয়।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে দমদম স্টেশনে কবি সুভাষগামী মেট্রোর কামরায় আগুনের ফুলকি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। দমদম স্টেশন থেকে মেট্রো ছেড়ে যাওয়ার পর আগুনের ফুলকি দেখা যায় বলে অভিযোগ করেছিলেন যাত্রীদের একাংশ। এ ঘটনার জেরে দমদম স্টেশনে ফের মেট্রোর রেকটিকে ফিরিয়ে আনা হয়। সেসময়ও বিঘ্নিত হয় মেট্রো চলাচল।
আরও পড়ুন, মেট্রোয় ফের বিভ্রাট, আবারও ঘটনাস্থল দমদম
এর আগে, গত ডিসেম্বরেও মেট্রোয় আগুন লেগেছিল। সেসময় রবীন্দ্র সদন ও ময়দান স্টেশনের মাঝে দমদমগামী মেট্রোর এসি রেকের প্রথম কামরায় আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের পর মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়ে মেট্রো। ধোঁয়ায় মুহূর্তে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের তিনটি গাড়ি। ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছিল, সে ঘটনায় ৪০ জন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনকে পাঠানো হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। বাকি পাঁচজনকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
আরও পড়ুন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় সর্বোচ্চ ভাড়া ৩০, ন্যূনতম ৫
গত বছরের পুজোয় ষষ্ঠীর দুপুরে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে আগুন-আতঙ্ক ছড়ায়। বারবার মেট্রোয় এমন ধরনের ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কে যাত্রীরা।