ভারতীয় হওয়াই যেন অপরাধ.. হিথরো বিমানবন্দরে মারাত্মক অপমানের শিকার সতীশ সাহ। হিন্দি টেলিভিশন তথা বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতাকে এমনকী এমন খোঁটাও শুনতে হয় যে, 'ভারতীয় হয়ে ফার্স্টক্লাস টিকিট কাটলেন কীভাবে?' রাগে-অপমানে গোটা বিষয়টা নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সতীশ।
মার্কিন মুলুকে আবারও ভারতীয় অভিনেতা বর্ণবৈষম্যের শিকার। এর আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিপাশা বসু থেকে শাহরুখ খানকেও এমন অনভিপ্রেত ঘটনার শিকার হতে হয়। সেই তালিকাতেই এবার নবতম সংযোজন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা সতীশ শাহ। হিথরো এয়ারপোর্টে কীভাবে চূড়ান্ত অপদস্ত হতে হয় অভিনেতাকে? সেই ঘটনা তুলে ধরেছেন তিনি।
বিমানবন্দরের ভিতরে এক কর্মী তার অপর সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনায় মগ্ন ছিলেন। তাদের কথোপকথন শুনেই সতীশ শাহ ঠাহর করতে পারেন যে, তাঁর ফার্স্টক্লাসে টিকিট কাটা নিয়েই কথা হচ্ছে। ভারতীয় দেখেই বিদেশের এয়ারপোর্টের কর্মীদের প্রশ্ন- 'এরা প্রথম শ্রেণীর টিকিট কাটে কীভাবে?' তবে একথা শুনে হজম করে আসার পাত্র সতীশও নন। অতঃপর জবাবও দিলেন।
তবে কোনওরকম কটু কথা নয় কিংবা মেজাজ চড়িয়েও নন। সতীশ শাহ হাসিমুখেই বললেন, এত দামি টিকিট কাটতে পারি ভারতীয় বলেই। টুইটে তিনি লেখেন- "যখন শুনলাম হিথরো বিমানবন্দরের কর্মী প্রশ্ন তুলছে যে- এরা ফার্স্টক্লাসের টিকিট কাটতে পারে কীভাবে? আমি গর্বিতভাবে হাসিমুখে ওদের বললাম- আমরা ভারতীয় বলেই।"
<আরও পড়ুন: ১ দিনে ১ কোটি! ‘ইতিহাস’, মিঠুন-নন্দন বিতর্ক উড়িয়ে রেকর্ড গড়ল ‘প্রজাপতি’>
প্রসঙ্গত, গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুবাদে সতীশ শাহের পায়ের তলার মাটি শক্ত। অর্থনৈতিক দিক থেকেও স্বচ্ছল তিনি। বিদেশেও প্রায়ই যান। প্রথম শ্রেণিতেই যাতায়াত করেন 'হম সাথ সাথ হ্যায়', 'হাম আপকে হ্যায় কৌন', 'ম্যায় হুঁ না' থেকে 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই' অভিনেতা। সতীশের মুখ থেকে এমন বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা শুনে অনুরাগীরাও রাগে ফেটে পড়েছেন। কেউ বলছেন, 'আপনার যোগ করা উচিত ছিল- এবার থেকে এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যান।' তো কারও সপাট মন্তব্য, 'ভারতীয়দের লুট করেই তো বর্তমানে বিলাসিতা করছেন ওরা।'
'ভারতীয় হওয়াই অপরাধ!', হিথরো বিমানবন্দরে চূড়ান্ত অপমানের শিকার সতীশ শাহ
বর্ণবৈষম্যের শিকার জনপ্রিয় অভিনেতা।
Follow Us
ভারতীয় হওয়াই যেন অপরাধ.. হিথরো বিমানবন্দরে মারাত্মক অপমানের শিকার সতীশ সাহ। হিন্দি টেলিভিশন তথা বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতাকে এমনকী এমন খোঁটাও শুনতে হয় যে, 'ভারতীয় হয়ে ফার্স্টক্লাস টিকিট কাটলেন কীভাবে?' রাগে-অপমানে গোটা বিষয়টা নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সতীশ।
মার্কিন মুলুকে আবারও ভারতীয় অভিনেতা বর্ণবৈষম্যের শিকার। এর আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিপাশা বসু থেকে শাহরুখ খানকেও এমন অনভিপ্রেত ঘটনার শিকার হতে হয়। সেই তালিকাতেই এবার নবতম সংযোজন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা সতীশ শাহ। হিথরো এয়ারপোর্টে কীভাবে চূড়ান্ত অপদস্ত হতে হয় অভিনেতাকে? সেই ঘটনা তুলে ধরেছেন তিনি।
বিমানবন্দরের ভিতরে এক কর্মী তার অপর সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনায় মগ্ন ছিলেন। তাদের কথোপকথন শুনেই সতীশ শাহ ঠাহর করতে পারেন যে, তাঁর ফার্স্টক্লাসে টিকিট কাটা নিয়েই কথা হচ্ছে। ভারতীয় দেখেই বিদেশের এয়ারপোর্টের কর্মীদের প্রশ্ন- 'এরা প্রথম শ্রেণীর টিকিট কাটে কীভাবে?' তবে একথা শুনে হজম করে আসার পাত্র সতীশও নন। অতঃপর জবাবও দিলেন।
তবে কোনওরকম কটু কথা নয় কিংবা মেজাজ চড়িয়েও নন। সতীশ শাহ হাসিমুখেই বললেন, এত দামি টিকিট কাটতে পারি ভারতীয় বলেই। টুইটে তিনি লেখেন- "যখন শুনলাম হিথরো বিমানবন্দরের কর্মী প্রশ্ন তুলছে যে- এরা ফার্স্টক্লাসের টিকিট কাটতে পারে কীভাবে? আমি গর্বিতভাবে হাসিমুখে ওদের বললাম- আমরা ভারতীয় বলেই।"
<আরও পড়ুন: ১ দিনে ১ কোটি! ‘ইতিহাস’, মিঠুন-নন্দন বিতর্ক উড়িয়ে রেকর্ড গড়ল ‘প্রজাপতি’>
প্রসঙ্গত, গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুবাদে সতীশ শাহের পায়ের তলার মাটি শক্ত। অর্থনৈতিক দিক থেকেও স্বচ্ছল তিনি। বিদেশেও প্রায়ই যান। প্রথম শ্রেণিতেই যাতায়াত করেন 'হম সাথ সাথ হ্যায়', 'হাম আপকে হ্যায় কৌন', 'ম্যায় হুঁ না' থেকে 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই' অভিনেতা। সতীশের মুখ থেকে এমন বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা শুনে অনুরাগীরাও রাগে ফেটে পড়েছেন। কেউ বলছেন, 'আপনার যোগ করা উচিত ছিল- এবার থেকে এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যান।' তো কারও সপাট মন্তব্য, 'ভারতীয়দের লুট করেই তো বর্তমানে বিলাসিতা করছেন ওরা।'