ফের শক্তি প্রদর্শন ভারতের। বৃহস্পতিবার বহু প্রতীক্ষীত থার্ড জেনারেশন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল 'নাগ'-এর সফল উৎক্ষেপণ হল পোখরানে। সেই পোখরান, যেখানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ভারত। এই শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র এবার ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভুক্তির দোরগোড়ায়। ডিআরডিওর তৈরি মিসাইল ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এদিন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের পর এবার ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভুক্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল 'নাগ'। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্ততকারী সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড এবার এই ডিআরডিওর প্রযুক্তি নিয়ে এই মিসাইল তৈরি করবে। গত দেড় মাসে এই নিয়ে বেশ কিছু মিসাইলের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও। এদের মধ্যে 'রুদ্রম-১' সহ বেশ কিছু লেজার গাইডেড মিসাইলও রয়েছে। গত ২০১২ সালে এটি প্রথমবার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তখন 'নাগের' সফল উৎক্ষেপণ হয়নি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফের পরীক্ষা হয়। তখন 'নাগ' সফলভাবে দুটি পৃথক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ, চিনকে বার্তা ভারতের
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে 'নাগ' শীতের ট্রায়ালে সফল হয়। গত জুলাই মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী পোখরানে গ্রীষ্মকালীন ট্রায়াল শুরু করে। এবছর ভারত সরকারও 'নাগ' মিসাইলকে মান্যতা দেয়। শত্রুশিবিরের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাঙ্ককে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম 'নাগ'। ৫০০ মিটার থেকে শুরু করে সর্বাধিক ৪ কিমি পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। থার্ড জেনারেশন এই মিসাইল ইনফ্রা-রেডের মাধ্যমে দুশমনের উপর আঘাত হানে। নাগ মিসাইল ক্যারিয়ার বা 'নামিকা' থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি একটি বিএমপি ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকল। যা ছটি কমব্যাট মিসাইল একসঙ্গে বহণ করতে সক্ষম।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন