মহাত্মা গান্ধির বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্যের জেরে হিন্দু ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজকে গ্রেফতার করল ছত্তিশগড় পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। চারদিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় মহাত্মার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে। এদিন তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় ছত্তিশগড়ে। পরে তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি আলাদা টিম মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে পাঠানো হয় কালীচরণের খোঁজে। পুলিশ জানিয়েছে, খাজুরাহো থেকে ২৫ কিমি দূরে বাগেশ্বর ধাম নামে একটি জায়গা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাগেশ্বর ধামে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ছিলেন তিনি। ভোর চারটে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে রায়পুরে নিয়ে আসা হয়। এমনটাই জানিয়েছেন রায়পুরের পুলিশ সুপার প্রশান্ত আগরওয়াল।
প্রসঙ্গত, রায়পুরে ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কালীচরণ। ২৫-২৬ ডিসেম্বর ওই অনুষ্ঠানে মহাত্মার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এবং তাঁকে খুন করার জন্য নাথুরাম গডসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে রবিবার রাতে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়।
রায়পুরের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে মহারাষ্ট্রের আকোলা ডেলায় কালীচরণের বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে পুণে শহরে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে মামলা দায়ের হয়। শিবপ্রতাপ দিন অনুষ্ঠানে তিনি উস্কানিমুলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন পরিস্থিতি এখনও ‘উদ্বেগজনক’, নাগাল্যান্ডে AFSPA-র মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াল কেন্দ্র
এদিকে, মধ্যপ্রদেশে এসে কালীচরণকে গ্রেফতারের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছত্তিশগড় পুলিশ মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে অন্ধকারে রেখে কালীচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। টুইট করে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি ছত্তিশগড় পুলিশের ডিজির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মিশ্রর টুইটের পাল্টা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন, "নরোত্তম মিশ্র আগে বলুক মহাত্মা গান্ধিকে অপমান করা ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করায় তিনি খুশি হয়েছেন না দুঃখ পেয়েছেন। ছত্তিশগড় পুলিশ নিয়ম মেনে সব করেছে, কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি।"