কর্তারপুর যাচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এমন দাবিই করেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তবে প্রধান অতিথি হিসেবে নয়, একজন ‘সাধারণ মানুষ’ হিসেবে কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে যাবেন মনমোহন সিং। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের পর মনমোহন যাবেন বলে জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। উল্লেখ্য, কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে লিখিত আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিলেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন কুরেশি। আগামী ৯ নভেম্বর বহু প্রতীক্ষীত কর্তারপুর করিডর খোলার কথা। গুরুনানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর ৩ দিন আগে খোলা হচ্ছে কর্তারপুর করিডর।
Advertisment
কর্তারপুরে মনমোহনের যাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শনিবার মুলতানে সাংবাদিকদের পাক বিদেশমন্ত্রী জানান, ‘‘মনমোহন সিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। ওকে ধন্যবাদ জানাই। উনি আমায় চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে, উনি আসবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে নয়, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যোগ দেবেন। আমরা সকলে ওকে স্বাগত জানাচ্ছি’’।
উল্লেখ্য, কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনে মনমোহনকে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ নিয়ে জোর চর্চা চলেছে জাতীয় রাজনীতিতে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, ‘‘কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনে পাকিস্তানের উদ্যোগে যে অনুষ্ঠান হবে তাতে তিনি নিজে বা মনমোহন সিং অংশ নেবেন না’’।
কর্তারপুর করিডর প্রসঙ্গে প্রজেক্ট ডিরেক্টর আতিফ মাজিদ আগে জানিয়েছিলেন, ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রায় ৭৬টি অভিবাসন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। কর্তারপুরে দরবার সাহিবের সঙ্গে পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক সৌধের সংযোগকারী এই করিডর। এখানে যেতে হলে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের কোনও ভিসা লাগবে না।